বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জের, জঙ্গলমহলে আদিবাসী মহিলাকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ
পিটিয়ে খুন করা হয়েছে এক আদিবাসী মহিলাকে। মৃতের নাম মালতী মুর্মু । বছর পঞ্চাশের ওই মহিলাকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ।
পিটিয়ে খুন করা হয়েছে এক আদিবাসী মহিলাকে। মৃতের নাম মালতী মুর্মু । বছর পঞ্চাশের ওই মহিলাকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ । মারধর করা হয় তার সঙ্গীকে । বেধড়ক মার খেয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন সনাতন হাঁসদা । তিনি হাসপাতালে ভর্তি । বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার আনন্দপুরের জোড়াকেউদি এলাকার উপর ঘুচি গ্রামে। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।
খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় এবং আহত সনাতনকে শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পর পুলিশি ধরপাকড়ের ভয়ে গোটা গ্রাম প্রায় পুরুষ শূন্য। ঘটনার পর গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।
পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার বলেন, 'ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে'।
আনন্দপুর ও শালবনী থানার সীমান্তে উপরঘুচি গ্রামে ২২টি আদিবাসী পরিবার বসবাস করে । জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের মালতী মুর্মুর সঙ্গে গ্রামের বাসিন্দা সম্পর্কিত আত্মীয় সনাতন হাঁসদার বিবাহ বহির্ভূত একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে । এই সম্পর্কের কথা গ্রামে জানাজানি হওয়ার পর দু'জনকেই মেলামেশা না করতে বলে সাবধান করে দেয় গ্রামের যুবকরা। তাতেও বন্ধ হয়নি মালতী ও সনাতনের মেলামেশা। বার কয়েক সতর্ক করার পরও সম্পর্কে ছেদ না পড়ায় মাস পাঁচেক আগে গ্রামে সালিশি সভা বসিয়ে দুজনের জরিমানাও করা হয়। তারপরেও লুকিয়ে চলতে থাকে দু'জনের মেলামেশা।
বৃহষ্পতিবার রাত এগারোটা নাগাদ দুজনকে একসঙ্গে মালতীর বাড়িতে দেখার পর গ্রামের কয়েকজন যুবক দুজনকে ধরে লাঠিসোটা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। তাতেই মৃত্যু হয় মালতীর।
সনাতনের বউমা সুকুমনি হাঁসদা বলেন, 'আমার শ্বশুরের সঙ্গে মালতীর একটা সম্পর্ক হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে ওরা দুজন এক সঙ্গে মালতীর ঘিরে বসে নেশা করছিল। তখন গ্রামের ছেলেরা গিয়ে দু'জনকেই মারধর করে। শুনছি তাতেই মালতী মারা গেছে।
মালতীর পুত্রবধূ দেবীকা মুর্মু বলেন, ঘটনার সময় তারা বাড়িতে ছিলেন। প্রতিবাদ করতে গেলে তাদেরকেও মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় ।