দিদি নয় ভরসা দাদাই! মমতার ভূমিকায় অসন্তুষ্ট অধীর মুখর হলেন কড়া সমালোচনায়
লকডাউনে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছে বাংলার শ্রমিকরা। এই ইস্যু নিয়ে প্রথম দিন থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী।
লকডাউনে বিভিন্ন রাজ্যে আটকে পড়েছে বাংলার শ্রমিকরা। এই ইস্যু নিয়ে প্রথম দিন থেকে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরী। ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের অবস্থা নিয়ে এবার তিনি একহাত নিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। খোলাখুলিই বলে দিলেন রাজ্য সরকারের ভূমিকা সন্তোষজনক নয়।
আটক শ্রমিকদের পাশে অধীর
প্রথম লকডাউন ঘোষণার পর থেকে আটক শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য, তাঁদের থাকা-খাওয়ার সুষ্ঠু বন্দোবস্ত করার জন্য দিনপাত করে চলেছেন। দিল্লির বাড়িতে বসে তিনি ভিনরাজ্যে আটকে পড়া মানুষজনের সহায়তা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেশ কিছু ক্ষেত্রে সুরাহা করেছেন সাংসদ অধীর চৌধুরী।
পরিষায়ী শ্রমিকদের এবং শ্রমিক পরিবারের ফোন পেয়ে
এখনও তাঁর সেই চেষ্টা চলছে, রাজ্যের আটকে পড়া শ্রমিকদের পাশে দাঁড়াতে তিনি বাড়িতে রীতিমতে কন্ট্রোলরুম খুলে ফেলেছেন বললেও অত্যুক্তি হয় না। তিনি পরিষায়ী শ্রমিকদের এবং শ্রমিক পরিবারের ফোন পেয়ে এলাকার সাংসদদের সঙ্গে যোগাযোগ করে একটা সুরাহা করতে চাইছেন, সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকারকে অবহিত করার চেষ্টা করছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সঠিক ভূমিকা পালন করছে না
অধীর মনে করেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বাংলার সরকারের আরও তৎপর হওয়া উচিত ছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সঠিক ভূমিকা পালন করছে না। রাজ্যের ভূমিকা. আদৌ সন্তুষ্ট নন তিনি। অধীরের কথায়, রাজ্য থেকে কারা বাইরে আটকে আছেন, সেই তথ্য রাজ্য সরকারের হাতে নেই।
তথ্য সংগ্রহের কোনও সদিচ্ছাই নেই রাজ্য সরকারের
অধীরের অভিযোগ, মমতার সরকারের সেই তথ্য সংগ্রহের কোনও সদিচ্ছাই নেই। কোনও চেষ্টাই করছে না সরকার। ফলে এই পরিস্থিতিতে পরিযায়ী শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। তিনি চেষ্টা করছেন বাঙালি শ্রমিকদের সাহায্য করতে। সেজন্য দিনরাত এক করে তিনি তথ্য সংগ্রহ করে চলেছেন।
আটক শ্রমিকদের জীবন রক্ষায় সচেষ্ট অদীর
অধীর এলাকার কংগ্রেস নেতাদের ফোন করছেন, সাংসদদের ফোন করছেন। চেষ্টা করছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে একটা সমন্বয় সাধন করতে। আটক শ্রমিকদের জীবন রক্ষায় বিজেপিকেও অচ্ছ্যুৎ ভাবছেন না তিনি। এই পরিস্থিতিতে এলাকার বিজেপি সাংসদদের ফোন করে সাহায্য চাইছেন কংগ্রেস দলনেতা।