বাগনান কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও তার স্ত্রীকে দল থেকে বহিষ্কার
বাগনান কাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা ও তার স্ত্রীকে দল থেকে বহিষ্কার
বাগনানের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত কুশ বেরা ও তার স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্য রমা বেরাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে বলে শুক্রবার সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান তৃণমূল কংগ্রেসের হাওড়া গ্রামীণ জেলা সভাপতি পুলক রায়।
তিনি আরো বলেন, নির্যাতিতার পরিবারকে আইনি সহায়তা সহ সমস্ত রকমের সহায়তা প্রদান করা হবে। ইতিমধ্যে ওই পরিবারকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। ওই পরিবারের যে মহিলার মৃত্যু হয়েছে তাঁর পারলৌকিক ক্রিয়া সম্পন্ন হলেই দলের পক্ষ থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত দুদিন আগে তৃণমুল নেতা কুশ বেরার হাত থেকে মেয়ের শীলতাহানি রক্ষা করতে গিয়ে মায়ের মৃত্যুকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় বাগনান থানার গোপালপুর। ঘটনায় তরুনীর অভিযোগের ভিত্তিতে বাগনান থানার পুলিশ মূল অভিযুক্ত কুশ বেরা ও তার সহযোগী শোভন মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কুশ বেরা স্থানীয় বাগনান ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী বলে জানা যায়।
এই প্রসঙ্গে পুলকবাবু জানান, রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার উন্নয়ন ও মানুষের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। বিজেপি পরিচালিত রাজ্য গুলিতে আইনের শাসন না থাকলেও এরাজ্যে আইনের শাসন আছে। তাই এই ঘটনা ঘটার ১২ ঘণ্টার মধ্যে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশের ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে তিনি জানান, বিজেপি পরিচালিত যোগী আদিত্যনাথের সরকার উন্নাওয়ে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে একবছর সময় লেগে যায়। যে কোনও মৃত্যুর ঘটনাই দুঃখজনক কিন্তু যাঁরা মৃত্যুর ঘটনাকে নিয়ে এলাকায় অশান্তি বাঁধাতে চায় তাঁদেরকে কোনও ভাবেই সমর্থন করা যায় না।
এদিন বাগনানের বিধায়ক অরুণাভ সেন বলেন, ঘটনার পর এই দলের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে এই ঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুক কাউকে ক্ষমা করা হবে না। ঘটনার পরেই পুলিশ দু'জনকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের সময় অভিযুক্ত কুশ বেরার বাড়ি থেকে ধারালো অস্ত্র ছোঁড়ায় একজন গুরুতর ভাবে আহত হন। এই ঘটনার অভিযুক্তকেও ক্ষমা করা হবে না।
তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের ঐতিহাসিক সমাবেশের ভবিষ্যৎ কী, স্পষ্ট ইঙ্গিত দিলেন মমতা