২১-এর ভোটে উত্তরবঙ্গে বিজেপির বাড়া ভাতে ছাই দিতে মোক্ষম পদক্ষেপ অভিষেক-পিকেদের
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তো ছিলই। এর সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যুক্ত হয়েছে, দলে (trinamool congress) বঞ্চনার অভিযোগ আর শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ। ফলে নেতারা যেমন বেসুরো হতে শুরু করেছেন, সেইসঙ্গে যুক্ত হ
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তো ছিলই। এর সঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যুক্ত হয়েছে, দলে (trinamool congress) বঞ্চনার অভিযোগ আর শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ। ফলে নেতারা যেমন বেসুরো হতে শুরু করেছেন, সেইসঙ্গে যুক্ত হয়েছে দলে ভাঙনের আশঙ্কা। বিজেপির চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় তাই সবকিছুই নিয়েই পদক্ষেপ নিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (abhishek banerjee)। উত্তরবঙ্গ সফর শেষ করে তিনি কলকাতায় ফিরে গিয়েছেন।
শোভন এখনও মমতার 'গুডবুক’-এ! একের পর এক সিদ্ধান্তে জল্পনা রাজ্য রাজনীতিতে
মুকুল বিজেপিতে শান্তিতে নেই! তাই 'জেঠু’কে তৃণমূলে ফিরে আসার আহ্বান 'ভাইপো’দের
দলে ভাঙনের আশঙ্কা
কোচবিহার দক্ষিণের মিহির গোস্বামীর মতো একাধিক জনপ্রতিনিধি ও নেতা দল ছেড়েছেন। অনেকে আবার বেসুরো। একগোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর দিকে আঙুল তুলছেন, সেই গোষ্ঠীকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গে সভা করবেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় যে কেউ বেরোবেন না, তা হলফ করে বলতে পারছেন না, তৃণমূলের কোনও প্রভাবশালী নেতা। বরং দলে ফাটল আরও চওড়া হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকেই।
দলীয় কর্মীদের মনের জোর বাড়াতে দাওয়াই
একদিকে বিজেপির তরফে অমিত শাহ, দিলীপ ঘোষরা দাবি করছেন বিজেপি এবার রাজ্যে ২০০টির বেশি আসন পাবে। কিন্তু তৃণমূলের দাবি কোনও অঙ্কেই বিজেপি সেই জায়গায় পৌঁছতে পারবে না। তৃণমূল কর্মীদের তিনি বলেছেন, এবারও তৃণমূলের সরকার গঠনের সম্ভাবনা উজ্জ্বল। বিজেপির প্রচার ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া কিছুই নয় বলেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।
উপসর্গহীনদের খোঁজ
গঙ্গারামপুরের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, অধিকারী পরিবারে আরও উপসর্গহীন রয়েছেন। কার্যত তিনি কাঁথি ও তমলুকের সাংসদ শিশির অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারীকেই নিশানা করেছেন। শুঘু সভাতেই নয়, যেখানে দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, সেখানেই উপসর্গহীনদের খোঁজ করেছেন তিনি। যাতে আগেভাগেই সেই নেতাকে নির্দিষ্ট করে দিয়ে অন্যদের ওপর নজরদারি করা যায়।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে দাওয়াই
তবে যেখানেই গিয়েছেন, সেখানেই তাঁকে গোষ্ঠীদ্বন্দের কথা শুনতে হয়েছে। শুধু শোনা নয়, মালদহে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী এবং সাবিত্রী মিত্রের লড়াইয়ের কথা সবার জানা। শুধু এই দুই নেতানেত্রীই নন, জেলায় জেলায় এমন অনেক গোষ্ঠী রয়েছে। এমনই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে জলপাইগুড়ি ময়নাগুড়িতে শিবশঙ্কর দত্ত ও শশাঙ্ক রায় বাসুনিয়ার। কিন্তু ভোটের মুখে এই লড়াইকে চাপা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা করতে গিয়ে তিনি যুযুধান দুই গোষ্ঠীকে মুখোমুখি বসিয়ে দেওয়ার সওয়াল করেছেন এবং ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বেসুরো নেতাকে দিয়েছেন ফোন নম্বর
দীর্ঘদিন ধরেই বেসুরো জলপাইগুড়ির মোহন বসু। সূত্রের খবর অনুযায়ী, মোহন বসুকে নিজের ফোন নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেছেন তাঁর সঙ্গে। আর অভিষেকের বলে বলিয়ান হয়ে মোহন বসু বলেছেন, তিনি জেলায় সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীর কথা শুনবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া নির্দেশ তিনি পালন করবেন।
গোর্খা ভোট বাড়াতে নির্দেশ
একদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে দাওয়াই দিয়েছেন, অন্যদিকে হিমালয় সংলগ্ন পাঁচ জেলায় থাকা গোর্খা ভোটের বেশিরভাগই তাদের দিকে আনার ব্যবস্থা করতে বলেছেন। এব্যাপারে তিনি আলিপুরদুয়ারের কালচিনির বিধায়ক মোহন শর্মা এবং জেলা কোঅর্ডিনেটর পাসাং লামাকে দায়িত্ব দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
এক কদম পিছিয়ে মাস্টারস্ট্রোক, মমতার পাল্টা চালে কৃষক মনে পিছনের সারিতে বিজেপি
শুভেন্দুকে ব্রাত্য রেখেই শেষ হল নাড্ডার সফর, স্থান হল না মুকুল-দিলীপদের দলে