মোহভঙ্গ মাত্র এক বছরেই! বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েই ফুঁসে উঠলেন শ্রমিক নেতা
অর্জুন-গড়ে থাবা বসিয়ে বিজেপিকে ভেঙে খান খান করে দিয়েছে তৃণমূল! লোকসভা ভোটের হারের পর পুরভোটে ঘুরে দাঁড়াতে মরিা তৃণমূল তাই কালক্ষেপ করতে চায় না। আর রাজ্যে যখন পুরভোটের দামামা বেজে গিয়েছে, তখন বিজেপি ছেড়ে দলে দলে 'ঘরওয়াপসি'তে শক্তি বাড়াল তৃণমূল। বিজেপি ছেড়েই গর্জে উঠলেন শ্রমিক নেতা।

তৃণমূলে ফিরে এসে ফুঁসে উঠলেন নেতা
টিটাগড়ের শ্রমিক নেতা পরবিন্দর চৌধুরীর নেতৃত্বে দুই শতাধিক কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে। পুরসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূলে ফিরে এসে তিনি বলেন, বিজেপি কাজের জায়গা নয়। ওখানে উন্নয়নমূলক কোনও ভাবনা চিন্তা নেই। শুধু ভাঙন চিন্তা-ভাবনাই হয় ওখানে। আর জাতিগত বিভেদ রচনা করা হয়।

এক বছরের কম সময়েই মোহভঙ্গ বিজেপিতে
বিজেপিতে এক বছরের কম সময় তিনি ছিলেন। এর মধ্যেই তাঁর শিক্ষা হয়ে গিয়েছে। বিজেপি ছেড়ে তিনি নিঃশ্বাস ফেলেছেন। তৃণমূলে ফিরে আসতে পেরে তিনি হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, সবাই তাঁরা হাঁফিয়ে উঠেছিলেন। তাঁরা কাজ করার মতো কোনও ক্ষেত্র পাচ্ছিলেন না।

তৃণমূলে যোগদান বিজেপি নেতা-কর্মীদের
সম্প্রতি টিটাগড়ে বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করেছেন দুই শতাধিক বিজেপিকর্মী। বারাকপুর বিজেপির শ্রমিক সংগঠনের নেতা পরবিন্দর চৌধুরীর নেতৃত্বেই তাঁরা যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তাঁরা তৃণমূলের কার্লায়ে এসে তৃণমূলের তেরঙ্গা পতাকা হাতে তুলে নেন। তাঁদের এই দলত্যাগ বিজেপির কাছে পাল্টা আঘাত।

আবার তৃণমূলে ফিরলেন ওঁরা
লোকসভার আগে এমনইভাবে তাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। এতদিন তাঁরা বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের ছত্রছায়ায় ছিলেন। কিন্তু এক বছর যেতে না যেতেই বিজেপিতে মোহভঙ্গ হল তাঁদের। তাঁরা আবার তৃণমূলে ফিরলেন। ঘরওয়াপসি হল তাঁদের।

বিজেপিতে গিয়ে কতবড় ভুল!
তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী। ব্যারাকপুরের তৃণমূল বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত বলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে ওঁরা ভুল বুঝে আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছে। ওরা বুঝতে পেরেছে বিজেপিতে গিয়ে কতবড় ভুল করেছে।