শুভেন্দুর রক্ষাকবচকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা মামলা হাইকোর্টে, প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ আইনজীবী
শুভেন্দুর রক্ষাকবচকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা মামলা হাইকোর্টে, প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ আইনজীবী
শুভেন্দু অধিকারীর রক্ষাকবচকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে মামলা হল হাইকোর্টে। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন আইনজীবী আবু সোহেল। উল্লেখ্য, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলার উপর স্থগিতাদেশ দেন।
গত
৮
ডিসেম্বর
শুভেন্দু
অধিকারীর
বিরুদ্ধে
দায়ের
হওয়া
সব
এফআইআর
ও
মামলার
উপর
অন্তর্বর্তী
স্থগিতাদেশ
দেন
বিচারপতি
মান্থা।
পাশাপাশি
তিনি
নির্দেশ
দেন,
আদালতের
অনুমতি
ছাড়া
নতুন
করে
কোনও
এফআইআর
দায়ের
করা
যাবে
না
শুভেন্দু
অধিকারীর
বিরুদ্ধে।
এবার
বিচারপতি
রাজশেখর
মান্থার
সেই
নির্দেশকে
চ্যালেঞ্জ
করে
ডিভিশন
বেঞ্চের
দ্বারস্থ
হলেন
আইনজীবী
আবু
সোহেল।
মামলাকারী
আইনজীবী
আবু
সোহেলের
দাবি,
পূর্ব
মেদিনীপুরের
নন্দকুমার
থানায়
দায়ের
হওয়া
একটি
মামলায়
তিনি
অন্যতম
পক্ষ।
তার
বক্তব্য
না
শুনেই
বিচারপতি
রাজশেখর
মান্থা
এই
রায়
দিয়েছে
বলে
অভিযোগ।
সিঙ্গেল
বেঞ্চের
সেই
নির্দেশকে
তাই
চ্যালেঞ্জ
করে
ডিভিশন
বেঞ্চে
যাওয়ার
সিদ্ধান্ত
নেন
ওই
আইনজীবী।
এই মর্মেই তিনি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। তিনি তাঁর দায়ের করা মামলায় আবেদন জানিয়েছেন, বিচারপতি রাজশেখর মান্থা যে নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার উপর, তার উপর স্থগিতাদেশ জারি করতে হবে। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে, তা তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
এমনকী বিচারপতি রাজশেখর মান্থা আরও নির্দেশ দেন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নতুন করে আর কোনও এফআইআর করা যাবে না পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত। এই নির্দেশের উপরও মামলাকারী আইনজীবী আবু সোহেল স্থগিতাদেশ জারি করেন। শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের যে রায় ছিল, তার উপর আদৌ খুশি নন তিনি। তাই ডিভিশন বেঞ্চের কাছে তিনি সুবিচার চেয়েছেন।
শুভেন্দু অধিকারীর মামলায় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার নির্দেশের উপর একদিনে যখন প্রধান বিচারপতির এজলাসে নতুন করে মামলা দায়ের করা হয়েছে, তখন শুভেন্দু অধিকারী এদিন হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তিনি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির পর্যবেক্ষণে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবেদন জানান তিনি। সেইসঙ্গে তাঁর আবেদন রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হোক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে এবং বিরোধী প্রার্থীরা যাতে মনোনয়নপত্র পেশ করতে পারেন, তার যথাযথ ব্যবস্থা করতে হবে। এবং তা কমিশনকে সুনিশ্চিত করে জানাতে হবে।