টোকিও অলিম্পিক্স ও উইম্বলডন থেকে সরে দাঁড়ালেন রাফায়েল নাদাল, জানালেন কারণও
টোকিও অলিম্পিক্স ও উইম্বলডনে খেলবেন না রাফায়েল নাদাল, কারণটা জেনে নিন
টোকিও অলিম্পিক্স এবং উইম্বলডনে না খেলার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন রাফায়েল নাদাল। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতি লিখে নিজেই একথা জানিয়েছেন কিংবদন্তি। কী কারণে এই সিদ্ধান্ত, তাও জানালেন ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী মহাতারকা। অন্যদিকে সংবাদমাধ্যমকে বয়কট করার জেরে তৈরি হওয়া বিতর্কে ফরাসি ওপেনের মাঝপথ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া নাওমি ওসাকার সঙ্গে একই ইস্যুতে মতামত জানতে যোগাযোগ করেছে উইম্বলডনের উদ্যোক্তারা।
|
রাফায়েল নাদালের পোস্ট
বৃহস্পতিবার এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে টেনিস প্রেমীদের চমকে দেন রাফায়েল নাদাল। যেখানে তিনি নিজের টোকিও অলিম্পিক্স ও উইম্বলডনে না খেলার সিদ্ধান্ত জানান। শারীরিক সমস্যার কথা ভেবেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী তারকা। দলের সঙ্গে আলোচনা করেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নাদাল।
সমস্যা ছিল ফরাসি ওপেনেও
ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচের কাছে হারতে হয়েছিল রাফায়েল নাদালকে। ওই ম্যাচ চলাকালীন চোট সমস্যায় জর্জরিত হতে হয়েছিল স্প্যানিশ তারকাকে। সে কারণে শেষের দিকে ক্লে কোর্টে নিজের সেরাটা উজাড় করে দিতে পারেননি বলেও জানিয়েছিলেন নাদাল। সেই চোটের জেরেই তিনি টোকিও অলিম্পিক্স ও উইম্বলডন থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন কিংবদন্তি।
টেনিস জীবনকে দীর্ঘায়িত করতে চান
৩৫ বছরের রাফায়েল নাদাল জানিয়েছেন টেনিস জীবনকে দীর্ঘায়িত করাই তাঁর লক্ষ্য। ফরাসি ওপেন ও উইম্বলডনের মধ্যে দুই সপ্তাহ ব্যবধান থাকলেও, তা তাঁর শরীরে তৈরি হওয়া ক্লে কোর্টের ধকল সামলে ওঠার পক্ষে যথেষ্ট নয় বলেই জানিয়েছেন নাদাল। ফলে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কথা ভেবেই তিনি এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন কিংবদন্তি। সঙ্গে জানাতে ভোলেননি যে অলিম্পিক্স গেমস যে কোনও ক্রীড়াবিদের কাছে অগ্রাধিকার পায়। তিনিও এর বাইরে নন। শরীর ঠিক থাকলে তিনিও ইভেন্টে অংশ নিয়ে দেশকে গর্বিত করতে চাইতেন বলেও জানিয়েছেন রাফা।
ওসাকার সঙ্গে যোগাযোগ
সংবাদমাধ্যমকে বয়কট ঘোষণা করা নিয়ে ফরাসি ওপেন চলাকালীন বিতর্কে জড়িয়েছিলেন নাওমি ওসাকা। এই ইস্যুতে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বিশ্বর দুই নম্বর মহিলা টেনিস তারকার তিক্ততা এতটাই চরমে ওঠে যে তিনি মাঝপথেই টুর্নামেন্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। তার প্রেক্ষিতেই সংবাদমাধ্যমের সামনে আসা নিয়ে ওসাকার বর্তমান অভিমত জানতে চেয়েছে উইম্বলডনের উদ্যোক্তরা।