মৃত প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে কিশোরীর, পা দিয়ে পরানো হল সিঁদুর, চাঞ্চল্য বর্ধমানে
মৃত প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে কিশোরীর
হিন্দু রীতি অনুযায়ী সিঁথিতে সিঁদুর দেওয়ার অর্থ হল ওই নারী বিবাহিত। হিন্দু বিয়ের অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদানই হল সিঁদুর। আর সেই সিঁদুর নিয়েই হেনস্থার শিকার হতে হল এক কিশোরীকে। আত্মহত্যায় মৃত প্রেমিকের পা দিয়ে জোর করে এক কিশোরীকে সিঁদুর পরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাটি ঘটেছে এ রাজ্যের বর্ধমান জেলায়। জানা গিয়েছে, আত্মঘাতী প্রেমিক নিজেও কিশোর। জানা গিয়েছে, অপ্রাপ্তবয়স হওয়ায় বিয়ে করতে না চাওয়াতেই আত্মঘাতী হয় প্রেমিক।
তরুণ ওই যুগল, যারা দু’জনেই ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ের বাসিন্দা, বিয়ে করতে চেয়েছিল। যদিও মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক নয় বলে এই বিয়েতে আপত্তি জানায় কিশোরীর মা। এই নিয়েই ওই যুগলের মধ্যে অশান্তির সৃষ্টি হয় যার জেরে ওই কিশোর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়। স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। কিন্তু কিশোরের দেহ ময়নীতদন্তের পর ফিরে আসলে এই কাহিনী নাটকীয় মোড় নেয়।
ছেলেটির দেহ পরিবারে ফিরে আসার পর, তার আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা মেয়েটির বাড়ি চড়াও হয়ে ঝামেলা করতে থাকে। পরিবার ও বিক্ষুব্ধ প্রতিবেশীদের অভিযোগ ছিল যে মেয়েটি ছেলেটির এই অভিপ্রায় সম্পর্কে অবহিত ছিল এবং তাও তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেনি সে। তাঁরা এও দাবি করেন যে ওই কিশোর মৃত্যুর আগে নিজের ছবিও পাঠায় মেয়েটিকে। এরপরই বিক্ষুব্ধ জনতা ওই কিশোরী ও তাঁর মাকে শারীরিকভাবে হেনস্থা করতে শুরু করে। প্রতিবেশীদের অভিযোগ যে মেয়েটির কাছে কিশোরের মায়ের ফোন নম্বর থাকা সত্ত্বেও সে তার মাকে এই চূড়ান্ত পদক্ষেপের কথা জানায়নি। এরপরই বিক্ষুব্ধ প্রতিবেশী মেয়েটিকে টানতে টানতে কিশোরের মৃতদেহের কাছে নিয়ে যায় এবং জোর করে মৃত কিশোরের পা দিয়ে কিশোরীর সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দেওয়া হয়। পরানো হয় শাখা–পলাও। এরপর নিয়ম মেনে তা ভেঙে দেওয়া হয়। মুছে দেওয়া হয় সিঁদুরও।
সুস্থ হয়ে উঠছে দিল্লি, আড়াই মাস পর নতুন করে আক্রান্ত ৬৪৮ জন, ফল মিলেছে লকডাউনে
স্থানীয় পুলিশ গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। মেয়েটির মা মহিলা পুলিশের কাছে তাঁর মেয়ের হেন্থা হওয়ার ঘটনাটি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।