নীলবাতি লাগানো গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর বাইক আরোহী! রণক্ষেত্র আসানসোল, পুলিশের লাঠিচার্জ
দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র আসানসোল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ। এমনকি কাঁদানে গ্যাসের শেলও ফাটানো হয় বলে জানা যাচ্ছে। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে অগ্নিগর্ভ থাকে গোটা এলাকা। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, পরিস্থিতি এখন অনেকটাই শান্ত। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে।

করা হয়েছে পুলিশ পিকেটও। অন্যদিকে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়েছে। খবর অনুযায়ী, বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আসানসোল জিটি রোডের উপর এই ঘটনা ঘটে। ফলে আটকে যায় গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি। যার ফলে গোটা রাস্তাজুড়ে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। আটকে পড়ে একের পর এক গাড়ি। ধীরে ধীরে রাস্তা খালি করারও চেষ্টা পুলিশের তরফে চালানো হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, আসানসোলের ঊষাগ্রাম এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। রাত ৯টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাড়ি ধাক্কা মারে সামনে থাকা একটি বাইক আরোহীকে। ঘাতক গাড়িটির মাথায় নীলরঙের বাতি লাগানো ছিল। ঘটনার পরেই এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করে ওই গাড়িটি। আর এরপরেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে জনতা।
ধরে ফেলে নীলবাতি গাড়িটিকে। উত্তেজিত জনতা গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। তাঁদের দেখে আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় একের পর ইট। শুধু তাই একের পর এক গাড়িতেও ভাংচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশের তরফে পালটা লাঠিচারজ করা হয়। এমনটাই জানা যাচ্ছে। তাতে পরিস্থিতি রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে। অবস্থা ক্রমশ নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে জেতে থাকলে পুলিশের তরফে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়া হয়। প্রায় ঘন্টাখানেক পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে বলে জানা যাচ্ছে। তবে থমথমে অবস্থা এলাকা জুড়ে।
অন্যদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই বাইক আরোহীকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে ঘটনার পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা। আসানসোল কমিশোনারেটের কমিশনারও পুরো বিষয়টির উপর নজর রেখেছেন।
তবে জানা গিয়েছে, নীলবাতি লাগানো গাড়িটি স্থানীয় পুলিশের। তবে কোন থানার গাড়ি তা এখনও পুলিশের তরফে স্পষ্ট করা হয়নি। তবে গাড়িটিতে পুলিশ স্টিকার লাগানো। ঘটনার পরেই চালক গাড়ি ছেড়ে পালায়।

অন্যদিকে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, আহত ব্যাক্তি বাইক নিয়ে রাস্তা পাড় হওয়ার সময়ে এই ঘটনা ঘটে। মুলত মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়তেই এই ঘটনা বলে দাবি তাঁর।