দাবিতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে শুরু হল অনির্দিষ্টকালের ট্যাক্সি ধর্মঘট
দাবিতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে শুরু হল অনির্দিষ্টকালের ট্যাক্সি ধর্মঘট
একাধিক দাবিতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে শুরু হল অনির্দিষ্টকালের ট্যাক্সি ধর্মঘট। চরমে উঠল যাত্রী পর্যটকদের ভোগান্তি।মঙ্গলবার দিনভর ফাঁকা বিমানবন্দরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ড।
প্রিপেইড ট্যাক্সি ভাড়া বাড়ানো, ট্যাক্স মুকুব করার দাবিতে মঙ্গলবার থেকে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাগডোগরা অল ট্যাক্সি ড্রাইভার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। দীর্ঘ লকডাউনে শিকেয় উঠেছিল পাহাড়ের পর্যটন। আনলক পর্ব শুরু হতে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে পাহাড়। বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা। এই সময় টানা ট্যাক্সি ধর্মঘট হলে পর্যটনের উপর তার বিরূপ প্রভাবপড়বে বলে আশঙ্কা করছে পর্যটন সংস্থাগুলো।
তাদের তরফে দ্রুত অচলাবস্থা কাটাতে সরকারি হস্তক্ষেপ দাবি করা হয়েছে। এদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে সরকারের পক্ষ থেকে এনবিএসটিসির দু'টি বাস চালানো হচ্ছে। ওই দু'টি বাস বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত পরিষেবা দিচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। সাংবাদিক বৈঠক করে অল ট্যাক্সি ড্রাইভারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েনের তরফে সুনীল গুরুং জানিয়েছেন লকডাউনে ৬ মাস তাঁরা ট্যাক্সি চালাতে পারেননি। তাই ট্যাক্স মুকুব করার দাবি জানানো হয় সংগঠনের তরফে। ২০০৮ সাল থেকে একবারও ভাড়া বাড়ানো হয়নি বলে জানিয়েছেন চালকরা। তাই ভাড়া বাড়ানোর দাবিও তোলা হয়েছে।
সংগঠনের দাবি, 'এ নিয়ে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে একাধিকবার জানানো হয়েছে। তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখারও প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতিতে কোনও কাজ না হওয়ায় বাধ্য হয়েই ট্যাক্সি ধর্মঘট ডাকতে হয়েছে তাঁদের।'
এদিন ট্যাক্সি ধর্মঘট শুরু হওয়ায় নাকাল হতে হয় যাত্রীদের। বহু পর্যটক বাগডোগরায় নেমে আতান্তরে পড়ে যান। এনবিএসটিসির দু'টি বাস বাগডোগরা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত চলাচল করেছে। শিলিগুড়ি যাঁদের গন্তব্য নয়, তাঁরা সবথেকে বেশি মুশকিলে পড়ে যান। অনেককেই শিলিগুড়ি পর্যন্ত এসে সেখান থেকে ফিরতে হয়।
এবার 'বেসুরো' মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের জেলা পরিষদের সহ সভাপতি বৈদ্যনাথ দাস