একুশের ভোটের আগে অনুন্নয়নের ছবি ইটাহারে, বাঁশের সাঁকো ভরসা গ্রামবাসীদের
একুশের ভোটের আগে অনুন্নয়নের ছবি ইটাহারে, বাঁশের সাঁকো ভরসা গ্রামবাসীদের
একুশের বিধানসভা নির্বাচন সামনেই। কিন্তু এখনোও উন্নয়নের ছোঁয়া পাই নি উত্তর দিনাজপুর ইটাহার ব্লকের একাধিক গ্রাম। এখনও বাঁশের সাঁকোই ভরসা উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার ব্লকের সুই ও মহানন্দার তীরবর্তী গ্রামবাসীদের। আগামী বিধানসভার আগে তাই খানিকটা হলেও ক্ষোভে ফুঁসছেন ওই এলাকার সাধারণ ভোটারেরা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, পূর্বদিকে রয়েছে সুই নদী। আবার পশ্চিমে প্রবহমান মহানন্দা। আর এভাবেই অনেকটা দ্বীপের মত দুই নদী পরিবেষ্টিত রয়েছে ইটাহার ব্লকের মারনাই গ্রাম পঞ্চায়েতের থারাইস, জালালপুর, খানপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। একেবারে মালদা সীমান্তে বসবাসকারী উত্তর দিনাজপুর জেলার এই গ্রামগুলির হাজারো বাসিন্দাদের চিকিৎসা, ব্যবসা বা লেখাপড়ার জন্য সুই নদীর উপর তৈরি বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে চলাফেরার জন্য ভরসা করতে হয়। যে কারনে বিশেষত প্রসুতি বা মরোনাপন্ন অসুস্থ রোগীদের স্থানীয় ইটাহার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত দুস্কর বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। বন্যার সময় সাঁকো ভেঙ্গে যাওয়ায় আরো বিপদে পড়তে হয় স্থানীয়দের। আর শুধুমাত্র এই যাতায়াতের সমস্যার কারনেই ওই গ্রামগুলিতে ভিন্ন এলাকা থেকে বিয়ের সম্বন্ধ করতেও অনেকে মুখ ফিরিয়ে নেন বলেও দাবী এলাকাবাসীর।
সমস্যায় গ্রামবাসীরা
মানুষের অভিযোগ, সাঁকো দিয়েই গ্রামের মানুষকে চলাচল করতে হয়। বন্যা হলে আরও সমস্যায় পড়তে হয়। বহুবার বিধায়ক ও প্রশাসনকে জানানো হয়েছে কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। শুধু মাটি পরীক্ষাই হয়েছে ব্রীজ কিন্তু হয়নি। এর জন্য গ্রামে কেউ মেয়েকে বিয়ে দিতেও চায় না। আরও অভিযোগ, প্রসুতি বা অসুস্থদের হাসপাতালে নিতে যেতে যথেষ্ট অসুবিধায় পড়তে হয়। এই সাঁকো বন্যার সময় থাকে না। তখন নৌকা দিয়ে পাড় হতে হয়। রাত বিরেতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আমরা চলাচল করি। আর ভোট আসলেই সবাই বলে ব্রীজ হবে, পড়ে সবাই ভুলে যায়। আমরা দ্রুত এই ব্রীজ চাই।
সমাধানের প্রতিশ্রুতি
এই অভিযোগ পেয়ে তবে দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য্য। তিনি জানান, এই সুই নদীর উপর ব্রীজ তৈরির জন্য যাবতীয় কাজ অনেকটাই এগিয়েছিল। কিন্তু লকডাউনের জন্য সেটা পিছিয়ে গেছে। তবে আমার বিধানসভা এলাকায় দুটি বড় ব্রিজ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর করছে তার মধ্যে ওটাও রয়েছে। তাই দ্রুত এই ব্রীজ হবে এটা আশা রাখছি।