তৃণমূলের যোগদানের হিড়িকের মধ্যেই বেসুরো প্রভাবশালী! দলে জায়গা করে নিচ্ছে সমাজবিরোধীরা, কটাক্ষ নেতার
তৃণমূলের যোগদানের হিড়িকের মধ্যেই বেসুরো প্রভাবশালী! দলে জায়গা করে নিচ্ছে সমাজবিরোধীরা, কটাক্ষ নেতার
বিধানসভা ভোটে জেতার পর থেকে যেখানে বিশেষ করে বিজেপি (BJP) থেকে তৃণমূলে (Trinamool Congress) যোগদানের হিড়িক লেগেছে, সেই পরিস্থিতি প্রভাবশালী নেতার মন্তব্য নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এদিন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী (Krishnendu Narayan Choudhury) অভিযোগ করেন, তৃণমূলে সমাজ বিরোধীরা জায়গা করে নিচ্ছে।
মালদায় জালনোটের পাচার চক্রের হদিশ
সীমান্ত এলাকায় পুলিশ মাঝে মধ্যেই জালনোট পাচার চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। শনিবার এমনই অভিযান চালায় বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে মুম্ভিরা দৌলতপুরের কাছে অভিযান চালাতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন পুলিশ কর্মীরা। হামলায় গুরুতর জখম হন ২ পুলিশকর্মী এবং ২ সিভিক ভলান্টিয়ার। যদিও শেষ পর্যন্ত পুলিশ ৫ জনকে গ্রেফতার করে।
অভিযুক্তদের সবাই তৃণমূলকর্মী
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এই ক্ষেত্রে অভিযুক্তরা সবাই তৃণমূল কর্মী ও নেতা বলেই পরিচিত। গ্রেফতার হওয়া ৫ জনের মধ্যে রয়েছে এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা হবিবুর রহমান এবং তাঁর স্ত্রী বখরাবাদ পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য সীমা বিবি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জালনোট কাণ্ডে এখনও বেশ কয়েকজন পলাতক। যদিও বিড়ম্বনায় পড়া স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে বলা হয়েছে, জালনোটের কারবারিদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। যদি কেউ কোনও রকমের অসামাজিক কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকে, তাহলে দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলেও জানানো হয়েছে, তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে।
কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর কটাক্ষ
এদিন এব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, তৃণমূলে এখন সমাজবিরোধীরা জায়গা করে নিচ্ছে। নিজেদেরকে বাঁচাতেই দুষ্কৃতীরা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছে। যাতে দলের ক্ষতি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এদের দল থেকে বের করে দেওয়ার দাবির পাশাপাশি কঠোর শাস্তির দাবি করেছএন তিনি। তবে কৃষ্ণেন্দু নায়ারণ চৌধুরীর এই মন্তব্যে, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ হয়ে পড়ল বলেই মনে করছে জেলার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
এবারের নির্বাচনে হেরেছেন
এর আগেই কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জেলাতেই নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন। যা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সতর্ক করেছিলেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে ইংরেজ বাজার থেকে তিনি বিজেপির শ্রীরূপা চৌধুরীর কাছে প্রায় ২০ হাজার ভোটে হেরে যান। গত ২০১৬-র নির্বাচনেও তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সেই সময় প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছিল। এরপর দলীয় বিধায়কের বাড়িতে হামলার ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। এবার কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন। এতে দলের মধ্যের বিভেদ আরও বাড়ল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।