মাত্র ২০ হাজার টাকার জন্য পণের বলি মালদায়
মাত্র ২০ হাজার টাকার জন্য পণের বলি মালদায়
মাত্র কুড়ি হাজার টাকার পণের বলি এক মালদার অন্তঃসত্ত্বা। বিয়ের চার বছর পর ২০ হাজার টাকার জন্য গৃহবধূকে বালিশ চাপা দিয়ে খুনের অভিযোগ উঠলো শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। বুধবারে মনি ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার পুখুরিয়া থানার বিষণপুর গ্রামে। অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আসমিরা খাতুন(২৩)। বাড়ি পরানপুর অঞ্চলের বিষনপুর গ্রামে। সূত্রে জানা গিয়েছে যে, চার বছর আগে চাঁদপুরের আসমিরার দেখাশোনা করেই বিয়ে হয় পেশায় শ্রমিক বিষানপুরের শেখ হাইউলের সঙ্গে। বিয়ের সময় দাবি মতো পণের টাকা দিতে না পারায় কিছুদিন বাদে স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন হাইউল। সেই টাকা মেটাতে তার তিন ভাই ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজে চলে যান। টাকা পেয়ে ১০ মাস বাদে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যায় হাইউল।তাদের দু বছরের একটি শিশুকন্যা রয়েছে।
আসমিরা আট মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন। কিন্তু বকেয়া পণের টাকার দাবিতে সম্প্রতি আসমিরার উপরে তার স্বামী ও শ্বশুরবড়ির লোকজন ফের নির্য়াতন শুরু করে বলে অভিযোগ। এ নিয়ে এলাকায় চারবার সালিশি হয়। হাইউল আর নির্যাতন করবেন না বলে জানালেও সমস্যা মেটেনি।
অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে ফের ২০ হাজার টাকা নিয়ে আসার দাবিতে আসমিরার উপরে নির্য়াতন শুরু হয়। অভিযোগ, টাকা না দিলে মেরে ফেলার হুমকি দেয় স্বামী ও তার শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা। মঙ্গলবার টাকার জন্য বাপের বাড়িতে গিয়েছিলেন আসমিরা। টাকা না মেলায় শ্বশুর বাড়িতে ফিরে আসেন। রাতে মেয়ের বাড়িতে গন্ডগোল হচ্ছে বলে প্রতিবেশীদের কাছে জেনে তরিঘরি মেয়ের বাড়িতে ছুটে যায় মা। সেখানে গিয়ে মা জোলেদা বেওয়া দেখেন যে খাটের নীচে পড়ে রয়েছে আসমিরার মৃতদেহ।
বিজেপির যুব মোর্চার মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার