বিমল-বিনয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতাই কাঁটা তৃণমূলের, একুশে পাহাড়-রাজনীতিতে নজর বিজেপির
বিমল-বিনয়ের প্রতিদ্বন্দ্বিতাই কাঁটা তৃণমূলের, একুশে পাহাড়-রাজনীতিতে নজর বিজেপির
একদা পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেছিলেন বিমল গুরুং। তিনি এবার মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী মেনে তৃণমূলের সঙ্গে জোটের বার্তা দিয়েছেন। কিন্তু একদা তাঁরই সঙ্গী বিনয় তামাংকে মানতে নারাজ তিনি। তাই পাহাড়ের সমীকরণ নিয়ে ধন্দ রয়েই যাচ্ছে। তৃণমূল চাইছে বিমল-বিনয়ের সমন্বয়, কিন্তু গুরুংয়ের সাফ কথা- তা আর হওয়ার নয়।
বিমল গুরুং বনাম বিনয় তামাং যুদ্ধ এবার পাহাড়ে
একটা সময় বিমল গুরুংয়ের সঙ্গেই ছিলেন বিনয় তামাং। বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগের পর তিনি বেপাত্তা ছিলেন। তারপর গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার রাশ নিয়ে নেন বিনয় তামাং। বিনয়ের সঙ্গে জোট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লোকসভা নির্বাচনে লড়েছিলেন। আর ২০১৯-এ বাইরে থেকেই বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন গুরুং।
গুরুংয়ের সমর্থন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই
২০১৯-এ বিজেপি পাহাড় রাজনীতিতে ফায়দা তোলার পর বিমল গুরুং এবার বেঁকে বসেন। তিনি বিজেপিকে আর সমর্থন দিতে নারাজ। কেননা। বিজেপিকে এত বছর সমর্থন দিলেও, মোদী-শাহরা কথা রাখেনি। তাই খোলাখুলি তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সমর্থন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই। আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই থাকবে রাজ্যপাট।
বিমল বনাম বিনয় যুদ্ধ আরও তীব্র পাহাড়ে
বিমল গুরুং খোলাখুলি মমতাকে সমর্থনের বার্তা দেওয়ার পর একটু পিছনের সারিতে পড়ে গিয়েছেন বিনয় তামাং-অনীত থাপারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে নবান্নে ডেকে বৈঠক করলেও কোনও সমন্বয় তৈরি হয়নি। বরং বিমল বনাম বিনয় যুদ্ধ আরও তীব্র হয়েছে। বিনয়কে কোনওভাবেই মানতে নারাজ বিমল গুরুং।
বিজেপি চাইছে বিনয় তামাংদের সমর্থন আদায় করতে
এই পরিস্থিতির ফায়দা তুলতে বদ্ধপরিকর বিজেপি। বিজেপি চাইছে বিনয় তামাংদের সমর্থন আদায় করতে। তাহলে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার ভোট দু-ভাগ হয়ে যাবে। আর জিএনএলএফের সমর্থন তো বিজেপির দিকেই আছে। ফলে বিমল গুরুং আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোটকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো রসদ পেয়ে যাবে বিজেপি।
বিনয়ের তুলোধনা, বিজেপিকে একহাত গুরুংয়ের
বিমল গুরুং সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর জোট, সেই জোটে বিনয় তামাংকে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। বিনয়ের নাম করে সম্প্রতি তুলোধনা করেছেন বিমল। বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলেছে, ওরা এতদিন শুধু ভোট নিয়েছে, আর ধোঁকা দিয়েছে। এবার জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। জবাব দেবই এবার।
বিজেপিকে হারানোই একমাত্র লক্ষ্য বিমল গুরুংয়ের
এখানেই শেষ নয়, বিমল গুরুং চ্যালেঞ্জ থুড়ে দিয়ে জানিয়েছেন, পাহাড়ে তিনটি আসন ছাড়াও উত্তরবঙ্গের ৫৪টি আসনে বিজেপিকে হারানোই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য। বিজেপিতে তিনি উত্তরবঙ্গ থেকেই আউট করে দেবেন, এমন হঙ্কারও ছেড়েছেন। এবার ১৪ ফেব্রুয়ারি কার্শিয়াংয়ে সভা বিমলের। সেই সভা থেকে তিনি কী বলেন, এখন সেদিকে তাকিয়ে পাহাড়বাসী।
'কিছু ভুঁইফোঁড় নেতা, আখের গুছিয়ে পালিয়েছে', রায়গঞ্জ থেকে দলবদলীদের নাম না করে নিশানা মমতার