পাহাড়ে অনুন্নয়নের জন্য দায়ী তৃণমূলই! জোশীমঠ প্রসঙ্গ টেনে মমতাকে নিশানা বিজেপি সাংসদের
পাহাড়ে পালাবদল ঘটেছে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার আধিপত্য আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবার হঠাৎ উত্থান হওয়া হামরো পার্টির আধিপত্য খর্ব করে পাহাড়ে রাজনীতিতে একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে উঠেছেন অনীত থাপা।
পাহাড়ে পালাবদল ঘটেছে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার আধিপত্য আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। এবার হঠাৎ উত্থান হওয়া হামরো পার্টির আধিপত্য খর্ব করে পাহাড়ে রাজনীতিতে একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে উঠেছেন অনীত থাপা।
তৃণমূলের সমর্থনের ভারতীয় গোর্খা জনমুক্ত মোর্চা সুপ্রিমোর হাতেই যখন পাহাড়ের ভার, তখন দুর্গাপুরে বিজেপির কার্যকারিনী বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এক হাত নিলেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু সিং বিস্ত।
বিজেপি সাংসদ বলেন, দার্জিলিংয়ের কোনও উন্নয়ন করেনি তৃণমূল। উল্টে যারা সততার সঙ্গে কাজ করেছে তাদের বরখাস্ত করে নিজের পছন্দের লোককে বসিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ফলে পাহাড়কে ভুগতে হচ্ছে, পাহাড়ের মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
শুক্রবার বিজেপির দু-দিনের প্রদেশ কার্যকারিনীর বৈঠকে যোগ দিয়ে এদিন ফের পৃথক উত্তরবঙ্গ নিয়ে সরব হন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু সিং বিস্ত। এদিন তিনি জোশীমঠের ভাঙনের উদাহারণ টেনে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন। সাংসদ রাজু সিং বিস্ত বলেন, "স্বাভাবিকভাবেই দেশে এইরকম কোনও ঘটনা ঘটলে পাহাড়ের মানুষ আতঙ্কিত হবেনই।
তাঁর কথায়, পাহাড়ে বহু অবৈধ নির্মাণ হচ্ছে। আজ থেকে নয়, বহুদিন আগে থেকেই পাহাড়ে অবৈধ নির্মাণ হয়ে চলেছে। কোনও নেতা বা দল এই নিয়ে যদি সততার সঙ্গে কাজ করতে চান বা চায়, তবে তাঁকে বরখাস্ত করে দেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। মিউনিসিপ্যালিটি নির্বাচনে স্থানীয় একটি পার্টি জিতেছিলো। তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনে গূঢ় রহস্য রয়েছে।
বিজেপি সাংসদ বলেন, দার্জিলিং পুরসভার ক্ষমতা দখল করে হামরো পার্টি অবৈধ নির্মাণ নিয়ে তদন্ত করছিল। মমতা দিদি সেই পার্টিকে ক্ষমতাচ্যুত করে নিজের লোককে বসিয়ে দিয়েছেন।" এবার তাঁর ইচ্ছামতো সবকিছু চলবে। পাহাড়ে অবৈধ নির্মাণ নিয়ে কোনও তদন্তও আর হবে না।
এরপরই পাহাড়ের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আজ দার্জিলিংয়ের যত জনসংখ্যা ও পর্যটক, সেই অনুপাতে সেখানের উন্নয়ন হয়নি। ইংরেজরা ২০ হাজার লোকের জন্যে দার্জিলিং তৈরি করেছিল। এখন সেখানে দুই লক্ষের বাস। পানীয় জল, জমি, হোটেলের অভাব। পাহাড়ের প্রকৃত উন্নয়ন হয়নি। এর জন্যে তৃণমূলই দায়ী।" সাংসদের দাবি কেন্দ্রীয় সরকারকেও সুসংহতভাবে উন্নয়ন করতে দেওয়া হয়নি দার্জিলিংয়ে।
উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভাজন প্রসঙ্গে সাংসদ রাজু সিং বিস্ত বলেন, "উত্তরবাংলার লোক ভিখারী নন। স্বাভিমান ও ইমান তারা বিক্রি করেননি। রাজ্যের ৮০ হাজার কোটি টাকা রাজস্বের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা আসে দার্জিলিং, তরাই ও ডুয়ার্স থেকে। ছয় লক্ষ কোটি টাকা ঋণ এই রাজ্যের। নাগরিক প্রতি ৬০ হাজার টাকা ঋণ। তাই উত্তরবঙ্গের মানুষকে বারবার অপমান করবেন না।"