মালদহ মেডিকেলে আরও ২ শিশুর মৃত্যু, জেলায় জেলায় বাড়ছে জ্বরের প্রকোপ
মালদহ মেডিকেলে আরও ২ শিশুর মৃত্যু, জেলায় জেলায় বাড়ছে জ্বরের প্রকোপ
মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও দুই শিশুর মৃত্যু হল। জ্বরে আক্রান্ত ছিল দুই শিশু জানা গিয়েছে। এই নিয়ে মালদহে গত ২দিনে ৫ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে জেলায় জেলায় শিশুদের ভাইরাল জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। কলকাতা শহরেও একাধিক হাসপাতালে শিশুদের জ্বর বাড়ছে।
বাড়ল শিশু মৃত্যু
ফের জ্বরের প্রকোপে শিশু মৃত্যু রাজ্যে। গতকালের পর আজ ফের মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে গত ২ দিনে মালদহে ৫ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গোটা রাজ্যে শিশু মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। কয়েকদিন আগে জলপাইগুড়িতে ৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে জ্বরে। মালদহে শিশুদেপ মৃত্যুও জ্বরের কারনে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জ্বরের প্রকোপ বাড়তে শুরু করায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকা।
কমিটি গঠন
পর পর শিশু মৃত্যুর ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতর। আজই উত্তরবঙ্গ যাচ্ছে স্বাস্থ্যদফতরের বিশেষ টিম। তাতে বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাবেন তাঁরা। পরে সেখানকার সরকারি হাসপাতালগুলিও ঘুরে দেখবেন। বিশেষজ্ঞ দলে রয়েছেন চিকিৎসক রাজা রায়, চিকিৎসক পল্লব ভট্টাচার্য, চিকিৎসক বিকাশচন্দ্র মণ্ডল, চিকিৎসক মিহির সরকার ও চিকিৎসক দিপ্তকান্তি মুখোপাধ্যায়। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএম হাসপাতালে বৈঠক করেছেন। সেখানে চিকিৎসকদের অবিলম্বে রিপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার নির্দেশ িদয়েছেন।
শিশুদের জ্বর বাড়ছে
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়িতেই প্রথম শুরু হয়েছিল শিশুদের জ্বরের প্রকোপ। শতাধিক শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০০শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেজ্বর, শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশি নিয়ে। তাদের মধ্যে ২ শিশুর শরীরে ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাসের সংক্রমণ মিলেছে। জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের সুপারের নেতৃত্বে সাতজনের একটি মনিটারিং দল গঠন করা হয়েছে। সেই বিশেষজ্ঞ দলে রয়েছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, একজন প্যাথলজিস্ট, নার্সিং সুপার, বায়োকেমিস্ট দুই চিকিৎস।
মরশুমি জ্বর দাবি মমতার
গতকাল এসএসকেএম হাসপাতালে এই নিয়ে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি জানিয়েছেন এই জ্বর নিয়ে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।এটা একটা মরশুমি জ্বর। প্রতিবছরই এই সময় শিশুদের মধ্যে দেখা দেয়। সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে কোনও ভয়ের কারণ নেই বলে তিনি আশ্বাস িদয়েছেন। অভিভাবকদের সঠিক সময়ে শিশুদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন তিনি।
বাঙ্গুরের পর আর জি করের মাথায় সেরা শিরোপা, পয়জন ইনফরমেশন সেন্টারকে স্বীকৃতি WHO-র