চোখের জলে তেহট্টের বীর সন্তান সুবোধ ঘোষের শেষকৃত্য সম্পন্ন
চোখের জলে তেহট্টের বীর সন্তান সুবোধ ঘোষের শেষকৃত্য সম্পন্ন
মানুষের ভালোবাসা, চোখের জলে, গান স্যালুটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় নিলেন তেহট্টের বীর সন্তান সুবোধ ঘোষ। রবিবার নিজের গ্রামের মাটিতে, নিজের বাড়ির কাছেই সমাধি দেওয়া হল এই সেনা জওয়ানকে। তাঁর দেহ যখন সমাধি দেওয়া হচ্ছে, তখন চারপাশে স্লোগান উঠল, 'সুবোধ ঘোষ অমর রহে'।
গত দু'দিন আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জম্মু-কাশ্মীরে ভারত- পাকিস্তান সীমান্ত। ভারতীয় সেনাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। প্রত্যুত্তরে গুলি দিয়েই পাল্টা জবাব দেয় সীমান্তে কর্মরত ভারতীয় বিএসএফ জওয়ানরা।
উভয়পক্ষের
গুলিবিনিময়ের
ফলে
পাকিস্তানি
সেনাদের
গুলিতে
ওইদিন
ঘটনাস্থলেই
শহিদ
হন
নদীয়ার
তেহট্ট
থানার
অন্তর্গত
রঘুনাথপুর
গ্রামের
বাসিন্দা
সুবোধ
ঘোষ
(২৬)।
তিনি
সম্প্রতি
জম্মু-কাশ্মীরে
কর্মরত
ছিলেন
বলে
জানা
গিয়েছে
পরিবার
সূত্রে।
সুবোধের
শহিদ
হওয়ার
কথা
গ্রামে
জানাজানি
হতেই
এলাকায়
নেমে
এসেছে
শোকের
ছায়া।
দূর-দূরান্ত থেকে জেলার বীর সন্তানকে একবার চোখের দেখা দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন নদিয়ার তেহট্টের রঘুনাথপুর গ্রামে। রবিবার খুব সকাল থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করে গ্রামে। সুবোধের দেহ আসার কথা ছিল সকালে। কিন্তু রবিবার গভীর রাতে রঘুনাথপুর পৌঁছয় সুবোধের কফিনবন্দি দেহ।
সামনে দু'টি রাজ্য পুলিশের বাইক, তার পরে পুলিশ ভ্যান এবং সব শেষে সেনাবাহিনীর কনভয়ের পরেই ছিল সুবোধের কফিন নিয়ে সেনা ট্রাক। মানুষের ভিড় তখন ভেঙে পড়েছে সেখানে। অনেকেকেই দেখা গিয়েছে বাড়ির ছাদে উঠে দেখতে। প্রথমেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে বানানো মঞ্চে নামানো হয় কফিনবন্দি সুবোধকে। সেখানে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে নিয়ম মেনে শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। একে একে উপস্থিত সরকারি আধিকারিকেরা জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিনে মাল্যদান করেন।
এর পরে সেনা জওয়ানরা কফিন কাঁধে তুলে প্যারেড করে নিয়ে যান বাড়িতে। সেখানে প্রায় আধ ঘণ্টা রাখা হয় এবং কফিন খুলে পরিবারকে দেখানো হয় সুবোধের দেহ। আর কেউ স্থির থাকতে পারেননি। কান্নায় ভেঙে পড়েন সুবোধের স্ত্রী অনিন্দিতা ঘোষ, বাবা গৌরাঙ্গ ঘোষ, মা বাসন্তী ঘোষ এবং অন্য আত্মীয়-পরিজনেরা। ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে একটা সময় জ্ঞান হারান সুবোধের মা ও স্ত্রী। পারিবারিক নিয়ম মেনে গঙ্গাজল, তুলসী পাতা, দূর্বাঘাস ও ধান দেওয়া হয় রাজেশকে। রঘুনাথপুর পঞ্চায়েতের নিমতলা বিদ্যানিকেতনের ফুটবল খেলার মাঠে শহিদ সুবোধ ঘোষের শেষ যাত্রার অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
দিল্লি বসে বাংলায় ভাইফোঁটা পেলেন মোদী-শাহরা