মর্মান্তিক, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরেও চাকরি না পেয়ে আত্মঘাতী জাতীয় স্তরের ক্রীড়াবিদ
মর্মান্তিক, দীর্ঘ প্রচেষ্টার পরেও চাকরি না পেয়ে আত্মঘাতী হলেন জাতীয় স্তরের ক্রীড়াবীদ
শোকের কবলে তামিলনাড়ু সহ গোটা দেশের ক্রীড়ামহল। তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরামে নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন জাতীয় স্তরের মহিলা কবাডি খেলোয়াড় বানুমথি। তদন্ত চলছে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারনা আত্মহত্যা করেছেন এই মহিলা ক্রীড়াবিদ। অন্য রকম কিছু এই মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে কি না, তা খাতিয়ে দেখতে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।
বানুমথিকে ওই অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁর পরিবারের লোকজন দ্রততার সঙ্গে স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ২৫ বছর বয়সী বানুমথির বাবা ধর্মরাজ পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা। পরিবারের সর্ব কনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন তিনি।
ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ পাঠিয়েছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে বানুমথির মুঠো ফোন হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর তদন্তকারী আধিকারিকদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বানুমথি। চরম হতাশা গ্রাস করেছিল তাঁকে। যথাযথ চাকরি না পাওয়ার জন্য মানসিক দিক দিয়ে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন এই কবাডি খেলোয়াড়।
বহু চেষ্টা করেও নিজের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছিলেন না বানুমথি। বিগত বহু বছর ধরে একটি ঠিকঠাক চাকরির চেষ্টা করছিলেন কিন্তু কোনও ভাবেই সাফল্য পাচ্ছিলেন না। চাকরি করে বাবাকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্যটি কিন্তু ব্যর্থতা শুধু তাঁকে বারবার আঘাতই দিয়ে গিয়েছে।
রাজ্য স্তরের পাশাপাশি জাতীয় স্তরেও কবাডিতে খেলেছেন বানুমথি। রাজ্য স্তরে জেলাকে এবং জাতীয় স্থরে রাজ্যের হয়ে বহু প্রতিযোগীতায় নজর কেড়েছিলেন ২৫ বছরের এই তরুণ ক্রীড়াবিদ।
চাকরি সংক্রান্ত বিষয়ের পাশাপাশি তাঁর মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ জড়িয়ে রয়েছে কী না তা জানার জন্য তদন্ত চালাচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা। বানিমথির এই মৃত্যু ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল দেশে চাকরির অবস্থাটা ঠিক কোথায়। তরুণ প্রজন্মের যোগ্যতা থাকলেও রুজিরুটির কোনও ব্যবস্থা নেই। যার ফলে জাতীয় স্তরের ক্রীড়াবিদ হয়েও হতাশার অন্ধকারে ডুবে মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে বানুমথিদের।