সেই প্রভাতের প্রাক্কালে টোকিও অলিম্পিকে ফের রবীন্দ্রনাথ, ১৩ বছর পর বাজল ভারতের জাতীয় সংগীত
টোকিও অলিম্পিকে ভারতের সর্বকালের সেরা সাফল্য। জ্যাভলিনে সোনা জিতে দেশকে অ্যাথলেটিক্সে প্রথম পদক, তাও আবার সেরা সোনা এনে দিয়েছেন হরিয়ানার নীরজ চোপড়া। আর সেই সঙ্গেই টোকিও অলিম্পিকের আসরে দ্বিতীয়বার বেজে উঠল ভারতের জাতীয় সংগীত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত জন-গণ-মন-অধিনায়ক...। আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন সোনাজয়ী নীরজ। গর্ব অনুভব করলেন প্রতিটি ভারতবাসী। এবং অবশ্য রবীন্দ্র-অনুরাগীরা।
২২ শ্রাবণের প্রাক্কালে
এমন দিনে গোটা ঘটনাটি ঘটল যাতে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল টোকিও, জাপান, ভারতের অলিম্পিক পদক ও রবীন্দ্রনাথ। কারণ, কালই যে কবিগুরুর প্রয়াণ দিবস। ২২ শ্রাবণ। সেদিন সকালেই প্রথম যে লাইনটি মনে পড়ে সেটি হলো, তখন কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি...। প্রয়াণ দিবসের প্রাক্কালে নীরজের ঐতিহাসিক সাফল্যে উদ্ভাসিত হয়ে উঠলেন রবীন্দ্রনাথ।
জাপানে রবীন্দ্রনাথ
যতটুকু জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ জাপানে গিয়েছেন মোট পাঁচবার। সে দেশে তাঁর অসংখ্য অনুরাগী। তাঁর সৃষ্টি নিয়ে এখনও চলছে গবেষণা। ১৯১৬ সালে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার জাপানের কোবে শহরে পদার্পণ করেছিলেন। প্রথম জাপান সফরে গিয়ে মাস তিনেক সেখানে ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়-সহ বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা করেন। জাপানকে গভীরভাবে দেখে অনুধাবনও করেন। এরপর ১৯১৭, ১৯২৪ সালেও জাপানে গিয়েছিলেন। ১৯২৯ সালে কানাডা যাওয়ার পথে জাপানে অবতরণ করেছিলেন, ফেরার পথেও যুক্তরাষ্ট্রে পাসপোর্ট হারানোর ঘটনার জেরে ফেরার পথেও জাপানে গিয়েছিলেন। সেটিই ছিল জাপানে তাঁর শেষ সফর। তিনি যেমন জাপান থেকে প্রভাবিত হয়েছিলেন, তেমনই জাপানও কবিগুরুর সৃষ্টিতে প্রভাবিত হয়। সাহিত্যচর্চা থেকে শুরু করে চিত্রশিল্প, রবীন্দ্র-সৃষ্টির জাপানি অনুবাদ থেকে গবেষণা সবই চলছে। কাজুও আজুমার কাছে কবিগুরু ছিলেন আরাধ্য দেবতার মতো। বিশ্বভারতীতে জাপানি ভাষার অধ্যাপক ১৯৭১ সালে জাপানে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন জাপান টেগোর সমিতি।
টোকিও অলিম্পিকে কবিগুরু
অবশ্য তার আগেই টোকিওয় হয়েছিল ১৯৬৪ সালের অলিম্পিক। সেবার ভারতীয় হকি দল সোনা জিতেছিল, যে দলে ছিলেন গুরবক্স সিং। ফের টোকিওয় অলিম্পিকের আসর থেকে সোনা জিতল ভারত। এবার জ্যাভলিনে নীরজ চোপড়া। ফলে টোকিও অলিম্পিকের সঙ্গে ভারতের সাফল্যের যেমন যোগ রয়েছে তেমনই মিলেমিশে একাকার রবীন্দ্রনাথও।
অলিম্পিকে দ্বিতীয়বার
আজ যখন পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভারতের পতাকা উত্তোলন করা হল তখন বাজছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্ট জাতীয় সংগীত। যা বেজেছিল ১৯৬৪ সালেও। ১৩ বছর পর অলিম্পিকের আসরে এভাবেই থাকলেন রবীন্দ্রনাথ। তাঁর প্রয়াণ দিবসের প্রাক্কালে। টোকিও অলিম্পিকের আসরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার!
#IND National Anthem at Olympic Stadium in #Tokyo2020
— Athletics Federation of India (@afiindia) August 7, 2021
Thank you @Neeraj_chopra1 #NeerajChopra pic.twitter.com/68zCrAX9Ka
Milkha Singh ji, aapki last wish poori ho gayi hai!!! 😃
— Fit India Movement (@FitIndiaOff) August 7, 2021
“Ye medal mein Milkha Singh Ji ko dedicate karta hu”- Neeraj Chopra
The Flying Sikh would be extremely happy and staisfied today... Thank You Neeraj Chopra, this moment will be cherished forever!!! 💙🇮🇳 pic.twitter.com/99S74o1Jm3