বশ্যতা বিরোধী দিবসে বিলি ছোলা, বাতাসা! শুভেন্দুর পদযাত্রায় ২ তৃণমূল বিধায়কের যোগে জল্পনা
সিপিএম হার্মাদদের থেকে খেজুরি মুক্তির ১১ বছর পূর্তিতে সেখানে দীর্ঘ মিছিল করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর আগেকার কর্মসূচির মতোই এই কর্মসূচিতে ছিল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও ছবি কিংবা তৃণমূলের কোনও পতাকা।


খেজুরির 'মুক্তি' স্মরণ
এদিন শুভেন্দু অধিকারী ২০১০-এর ২৪ নভেম্বর সিপিএম-এর হার্মাদদের থেকে খেজুরি মুক্তির কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, সেদিন সকালে প্রায় ৩০০ ট্রাকে হাজারো সশস্ত্র ব্যক্তি খেজুরি দখল করে। তবে সেদিন বেলা বা়ড়তেই তিনি পথে নামেন। বিকেলের দিকে খেজুরি হার্মাদ মুক্ত হয় বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত ২০১০-এর ২৪ নভেম্বর এলাকায় সিপিএম-এর ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়েছিল। কিন্তু জিতে যায় তৃণমূল। সেই দিনটিকেই বশ্যতা বিরোধী দিবস হিসেবে পালন করে থাকে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব।

খেজুরিতে শুভেন্দু অধিকারীর পদযাত্রা
খেজুরি মুক্তির স্মরণেই প্রতিবছর তিনি পদযাত্রা করেন। যেমনটি করলেন এই বছরে। এদিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাঁশগোড়া থেকে পদযাত্রা শুরু হয়। যায় কামারদা পর্যন্ত। এদিন পদযাত্রা শুরুর আগে এলাকায় ছোলা বাতাসা বিলি করেন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা।

২ তৃণমূল বিধায়কের যোগদান
এদিনের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছাড়া, তৃণমূলের প্রতীক ছাড়া পদযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন, কাঁথি দক্ষিণ এবং খেজুরির তৃণমূল বিধায়ক বনশ্রী মাইতি এবং রণজিত মণ্ডল। প্রশ্নের উত্তরে রণজিত মণ্ডল অবশ্য দাবি করেন, মিছিলে যেমন শুভেন্দু অধিকারীর ছবি রয়েছে, ঠিক তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিশির অধিকারীর ছবিও রাখা হয়েছে। রয়েছে তৃণমূলের পতাকাও।

নতুন বিশেষণে শুভেন্দু অধিকারী
এদিন মিছিলের ব্যানারে দেখা যায় বাংলার মুক্তি সূর্য হিসেবে নাম দেওয়া হয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। তবে দিন কয়েক আগে দাদার অনুগামীদের তরফে হাওড়ায় যে পোস্টার দেওয়া হয়েছিল সেখানেও শুভেন্দু অধিকারীকে বাংলার মুক্তি সূর্য হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তৃণমূলের তরফে বাংলার মুক্তি সূর্য হিসেবে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলা হয়, ঠিক তেমনই বাংলার উদীয়মান মুক্তি সূর্য হিসেবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলা হয়ে থাকে।

পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ নেতার
এদিকে এরই মধ্যে পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলাপরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান। তাঁর অভিযোগ স্বচ্ছতার সঙ্গে তিনি কাজ করতে পারছেন না। এছাড়াও তিনি জেলার খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের দুর্নীতি নিয়েও সরব হয়েছেন। যেখানে গেলে জনগণের জন্য ভাল করে কাজ করতে পারবেন, সেখানেই যাবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
মিহিরের কাছে দূত পাঠাল তৃণমূল! রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে বৈঠক ঘিরে বাড়ছে জল্পনা