বনধ নিয়ে দ্বিমত! শুভেন্দু অধিকারীর ঘোষণায় বিজেপির 'বিরোধ' প্রকাশ্যে
রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভার নির্বাচনে (Municipal Election) তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ করে সোমবার ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দেয় বিজেপি (BJP)। বিভিন্ন জেলায় বিধায়ক থেকে সাংসদ সবাইকে বনধ (Bandh) সফল কর
রাজ্যের ১০৮ টি পুরসভার নির্বাচনে (Municipal Election) তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ করে সোমবার ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দেয় বিজেপি (BJP)। বিভিন্ন জেলায় বিধায়ক থেকে সাংসদ সবাইকে বনধ (Bandh) সফল করতে পথে নামতে দেখা যায়। এদিকে বেলা বারোটার কিছু আগে নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়ায় বিজেপির কর্মসূচিতে গিয়ে কার্যক বনধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। আর এব্যাপারে সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
বনধ প্রত্যাহার নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী
এদিন সকাল থেকে নন্দীগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ কর্মসূচি নেয় বিজেপি। সকাল গড়াতেই শুভেন্দু অধিকারী যোগ দেন টেঙ্গুয়ায় দলের কর্মসূচিতে। সেখানে তিনি বলেন, ভোর পাঁচটা সাড়ে পাঁচটা থেকে বনধের ডাকে অনেকের অনেক অসুবিধা হয়েছে। তিনি বলেন, অনুরোধ করবেন, বেলা ১২ টায় যেন বনধ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি সেখানকার মণ্ডল প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করবেন বনধ প্রত্যাহার করে নিতে।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রতিক্রিয়া
এব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমে বিজেপির রাজ্য সভাপতির মন্তব্য প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে তিনি বলেছেন, উনি (শুভেন্দু) তাঁকে (সুকান্ত) এব্যাপারে কোনও কথা বলেননি। বলেছেন সংবাদ মাধ্যমে। যদি তাঁকে এমন কোনও আর্জি জানাতেন তাহলে আলোচনা হত। তবে বনধ প্রত্যাগার করা সম্ভব নয় বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া
অন্যদিকে এদিন সকালে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপি নৈতিকভাবে বনধ সমর্থন করে না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এছাড়া প্রতিবাদের আর কোনও উপায় নেই। পাশাপাশি তিনি কটাক্ষ করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৭৫-৭৬ টা বনধ ডেকেছিলেন। মমতা বন্দ্যোবপাধ্যায়ই বনধের রাজনীতিকে জনপ্রিয় করেছেন। তিনি আরও বলেন বাংলায় গণতন্ত্রের কোনও অস্তিত্ব নেই। পুলিশ প্রশাসন একতরফাভাবে কাজ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস হিংসা ছাড়া নির্বাচনে জিততে পারবে না।
বনধের বিক্ষিপ্ত প্রভাব জেলায় জেলায়
কলকাতার যাদবপুর, হাজরা, বড়বাজার, শিয়ালদহ-সহ বিভিন্ন জায়গায় সকালের দিকে অবরোধ করে বিজেপি। পুলিশ বিক্ষোভে নেতৃত্বদানকারী যেমন বড়বাজার থেকে মীনাদেবী পুরোহিত, শিয়ালদহের ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে গ্রেফতার করে। কলকাতায় বনধের সেরকম কোনও প্রভাব না পড়লেও বিভিন্ন জেলায় বনধ সফল করতে রাস্তায় নেমেছিলেন বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা। কোচবিহারে মিহির গোস্বামী, শিলিগুড়িতে শঙ্কর ঘোষ পথে নামেন। বালুরঘাটে বনধ সফল করতে পথে নেমেছিলেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এছাড়া, নদিয়া, হুগলিতে রেল অবরোধে সামিল হন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বেলা বাড়তেই পুলিশ অবশ্য অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়।
বনধে প্রভাব পড়েনি কলকাতায়! বিজেপির মোকাবিলায় সিপিএম নেতার মন্তব্যে 'খুশি' সৌগত