নন্দীগ্রামের মানুষকে অপমান করছেন দিদি, জবাব দেবে, মমতাকে তীব্র আক্রমণ মোদীর
নন্দীগ্রামের মানুষকে অপমান করছেন দিদি, অপমানের জবাব দেবে, মমতাকে তীব্র আক্রমণ মোদীর
গোটা দেশের নজর এখন নন্দীগ্রামের উপর। হাইভোল্টেজ লড়াই। একদিকে ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারী অন্যদিকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। কেউ কাউকে জমি ছাড়তে নারাজ। এই অবস্থায় অধিকারী গড়ে দাঁড়িয়েই প্রচারে ঝড় তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রচারে নন্দীগ্রাম আবেগকেই পাল্টা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানকার মানুষকে মমতা অপমান করেছেন বলে তীব্র আক্রমণ শানালেন তিনি।
সুকৌশলে মমতাকে বিঁধলেন মোদী
নন্দীগ্রামে শেষ হাসি কে হাসবে তা এখন স্পষ্ট নয়। একদিকে আত্মবিশবাসী শুভেন্দুর হুঙ্কার অন্যদিকে ২৯৪টি লোকসভা কেন্দ্রে আমি প্রার্থী বলে প্রচার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মুহূর্তে বাংলার রাজনীতিতে নন্দীগ্রাম এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। যে নন্দীগ্রামের লড়াই মমতাকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারের দিকে এগিয়ে দিয়েছিল। আর সেই সেখানকার মানুষই নাকি তাঁর পায়ের আঘাতের জন্যে দায়ী। আঘাতের পিছনে 'চক্রান্ত'-এর কথা বলছেন মমতা। আর সেই বিষয়টিকে সামনে এনে সুকৌশলে মমতাকে বিঁধলেন মোদী।
নন্দীগ্রামের মানুষকে অপমান করেছেন তৃণমূল নেত্রী!
কাঁথির সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ''আপনারা দেখছেন, নন্দীগ্রামের বদনাম করার জন্য একটার পর একটা মিথ্যে কথা বলে চলেছেন দিদি। দিদি, নন্দীগ্রাম আপনাকে অনেক কিছু দিয়েছে। সেই নন্দীগ্রামের মানুষেরই বদনাম করছেন? পুরো ভারতবর্ষে তাঁদের অপমান করছেন? নন্দীগ্রামের আত্মাভিমানী মানুষ এর জবাব দেবেন।'' মমতার আঘাতের পরেই নন্দীগ্রামের মানুষই বলে কেউ তাঁকে আঘাত করেনি। রডে লেগেই আক্রান্ত হতে হয়েছেন মমতাকে। কিন্তু প্রত্যেক সভা থেকেই কার্যত ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করছেন নেত্রী। আর সেই ভাবাবেগকে হাতিয়ার করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চক্রান্তের তত্ত্বকেই খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই মত রাজনৈতিকমহলের।
কাঁথিতে মোদীর সভা
প্রথম দফার ভোেটর আগে কাঁথিতে সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলার ভোটে এবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এবার নন্দীগ্রাম হচ্ছে একুেশর ভোটের হটস্পট। সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছে বাংলা। সেখানে শুভেন্দু অধিকারী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বি। প্রচারে তাই পূর্ব মেদিনীপুরে ঝড় তুলেছে বিজেপি। অমিত শাহ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কাউকে আনতেই কসুর করেনি গেরুয়া শিবির। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীকে পাশে নিয়ে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দিলীপ না শুভেন্দু
কয়েকদিন আগে ঝাড়গ্রামের সভা থেকে দিলীপ ঘোষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেছিলেন বাংলা বিজেপির জমি শক্ত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন দিলীপ ঘোষ। কয়েক মাস রাতে ভাল করে ঘুমোননি তিনি। প্রকাশ্যে দিলীপ ঘোষের এই প্রশংসার পরেই জল্পনা শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলে। তাহলে কি দিলীপ ঘোষকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ভাবছে বিজেপি।তারপরে ফের শুভেন্দুকে পাশে নিয়ে ভূমিপুত্রকে মুখ্যমন্ত্রী করার মোদীর বার্তায় আবার এক নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে
শুভেন্দুকে পাশে নিয়ে বার্তা
অধিকারী পরিবারে পদ্ম ফোটার পরে এই প্রথম কাঁথিতে সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী। কাঁথির সভাতে কী বার্তা দেন মোদী সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। শুভেন্দু অধিকারীকে পাশে নিয়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে বাংলার ভূমিপুত্রই হবে মুখ্যমন্ত্রী। সেই মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শিশির অধিকারী। তিনিও কয়েক দিন আগে বিজেপি যোগ দিয়েছেন। শুভেন্দুকে পাশে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই বার্তা যথেষ্ট ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুভেন্দুই মুখ্যমন্ত্রী ভেবে এগোচ্ছে বিজেপি এমনই জল্পনা শুরু হয়েছিল।
অভিনেতা বাদশা মৈত্রর অদেখা নানা ছবি
বাংলায় বিজেপিকে নিয়ে এসেছে সিপিএমই, বিষ্ণুপুরের সভা থেকে বাম-রামকে একযোগে আক্রমণ