টার্গেট ছিল ১০ লক্ষ, ২০ লক্ষ ছাপিয়ে গেল জমায়েত, ডিস্টিংশনে পাস মোদীর ব্রিগেড
টার্গেট ছিল ১০ লক্ষ, ২০ লক্ষ ছাপিয়ে গেল জমায়েত, ডিস্টিংশনে পাস মোদীর ব্রিগেড
১০ লাখের টার্গেট নিয়ে ব্রিগেডের আযোজনে নেমেছিল বিজেপি। সেই ভিড় ধাপে ধাপে বাড়তে শুরু করে। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই প্রবল উচ্ছ্বাসে ঘোষণা করা হয়ে ২০ লক্ষেরও বেশি জমায়েত হয়েছে সভায়। সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে বিজেপির ব্রিগেড। এক কথায় একুশের ভোটের প্রথম ব্রিগেডেই ডিস্টিংশনে পাস নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশ।
১০ লক্ষ জমােয়তের টার্গেট
আক্ষরিক অর্থে বিজেপির প্রথম ব্রিগেড বলা চলে। ১০ লক্ষ জমায়েতের টার্গেট নিেয় আয়োজন করেছিল বিজেপি। সেই টার্গেট মতো ৫০টি এলইডিটিভি লাগানো হয়েছিল ব্রিগেডের চারিদিকে। মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল ৬০ ফুট উচ্চতার। যাতে সকলে দেখতে পান। সেরকম বন্দ্যোবস্ত করা হয়েছিল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিজে দাবি করেছিলেন ১০ লক্ষের টার্গেট নিয়েই তাঁরা ময়দানে নেমেছেন। সেই মতই জেলায় জেলায় ব্রিগেডের প্রচার করেছেন বিজেপির নেতা কর্মীরা।
২০ লক্ষ ছাপিয়ে গেল জমায়েত
১০ লক্ষ জমায়েতের আয়োজন হলেও বেলা যত গড়িয়েছে ভিড় তত বেড়েছে। বেলা ১২ টা বাজতে না বাজতেই ভিড় জমতে শুরু করে ব্রিগেড ময়দানে। মিঠুন মঞ্চে ওঠার পর থেকেই ভিড় আরও বাড়ে। শেষ পর্যন্ত ভিড় সামলাতে হিমসিম খেতেহয় বিজেপি নেতৃত্বকে। অন্যদিকে প্রেসের জন্য বরাদ্দ এলাকাতেও ভিড় করতে শুরু করেন জনতা। কত কাছ থেকে মিঠুনকে দেখার জন্য আগ্রহে এগিয়ে আসতে থাকেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। দিলীপ ঘোষ থেকে,মুকুল রায়, বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরী,কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সকলকেই মাঝপথে বক্তব্য থামিয়ে ভিড় সামাল দিতে দেখা গিেয়ছে। এক কথায় বলতে গেলে প্রথম ব্রিগেডেই ডিস্টিংশনে পাস বিজেপি।
বামেদের ব্রিগেডে ১০ লক্ষ জমায়েত
চ্যালেঞ্জ পূরণ করল বিজেপি। বাম-কংগ্রেস-আইএসএফের জোটের ব্রিগেডে ১০ লক্ষের বেশি জমায়েত হয়েছিল ঠিকই। কিন্তু ২০ লক্ষ পৌঁছতে পারেনি। সেকারণেই ১০ লক্ষের বেশি জমায়েতের চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন বঙ্গ বিজেপির নেতারা। সেই চ্যালেঞ্জ অনায়াসে পূরণ করেছেন তাঁরা। সকালেই দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন ব্রিগেড হারজিত ঠিক করে না। তবে ব্রিগেডে দলের কর্মীদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। সেটা করে দেখিয়েছে বিজেপি।
ব্রিগেডের নজর কাড়ল কে মোদী না মিঠুন
কাকে দেখতে এতো ভিড় মোদী না মিঠুন । এই নিয়ে জোর তরজা চলছে। বরাবরই মিঠুনকে ঘিরে বাঙালিদের আবেগ একটু অন্যরকম। তাই বুদ্ধি করেই বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় আগের দিন রাতেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মিঠুন থাকবেন ব্রিগেডের মঞ্চে। তাতেই অর্ধের ভিড় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তারপরে মোদী ক্যারিশ্মাতো রয়েইছে। মোদী যখন ব্রিগেডে এসে পৌঁছলেন তখন উত্তেজনা একেবারে মধ্য গগণে। কাজেই এবারের ব্রিগেড একা মোদী নন ভিড় টেনেছেন মিঠুনও।