করোনা ধাক্কায় অনিশ্চয়তায় ক্যাম্পাসের পঠনপাঠন! অবশেষে ভার্চুয়াল ক্লাস শুরু যাদবপুরে
করোনা সঙ্কটের মধ্যেও অনেক মতবিরোধের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ভার্চুয়াল ক্লাসের রাস্তায় হাঁটল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। সূত্রের খবর, সোমবার থেকেই কলা ও বিজ্ঞান শাখার পড়ুয়াদের জন্য এই পরিষেবা শুরু করা হচ্ছে। যদিও এই দুই শাখার সমস্ত বিভাগেই একসাথে পঠনপাঠন শুরু করা না গেলেও পর্যাপ্ত পরিকাঠামো তৈরি হলে দ্রুত সেই পথে হাঁটবে কর্তৃপক্ষ। এমনটাই খবর বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে।
এদিকে বর্তমানে স্নাতক স্তরে ভর্তি চলছে যাদপুরে। কিন্তু ২ ও ৪ সেমিষ্টারের সিলেবাস শেষ হয়নি। অসমাপ্ত রয়ে গিয়েছে একটা বড় অংশের পঠন পাঠন। তাই বর্তমানে ভার্চুযাল ক্লাসের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। যদিও অনলাইন শিক্ষা কখনওই নিয়মিত ক্লাসরুমের বিকল্প নয়। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বলে সংবাদমাধ্যমে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
সূত্রের খবর, বেসরকারি স্কুল বা কলেজের মতো রিয়েল টাইম অনলাইন টিচিং অর্থাৎ ৩-৪ ঘণ্টা ধরে টানা অনলাইন ক্লাসের পথে হাঁটছে না যাদবপুর। অধ্যাপকদের একটা বড় অংশের মতে তাতে সীমিত ডেটা প্যাক, ইন্টারনেটের অপ্রতুলতা, পর্যাপ্ত মোবাইল ডিভাইসের অভাবে বিপাকে পড়তে পারেন একটা বড় অংশের পড়ুয়া। আর তাতেই এই ক্ষেত্রে একটু অন্য পথে হাঁটতে চাইছে যাদবপুর।
এই প্রসঙ্গে উপাচার্য সুরঞ্জন দাস জানিয়েছেন বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে একটা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা থাকবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের লেকচার নোটস, পড়াবার ভিডিও, বইয়ের পিডিএফ ও অন্যান্য স্টাডি মেটিরিয়াল। ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের সুবিধা মতো সেখান থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবে। হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যান্য মাধ্যমেও শেয়ার করা যাবে সেই সমস্ত তথ্য।
এদিকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির মধ্যেই পুরনো সিলেবাস শেষ করে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে যাদবপুর। সূত্রের খবর, এই এই উদ্যোগের জন্য খরচ হচ্ছে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। অধ্যাপকদের পাশাপাশি প্রাক্তনীদের একটা বড় অংশেও এতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে একদমই দুস্থ পরিবারের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় যাতে ভার্চুয়াল শিক্ষা ব্যাবস্থা যাতে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তাই এর আগেই অভিনব সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গেছে যাদবপুরকে। নলাইন ক্লাসে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের অন্তর্ভুক্ত করতে ৮০০ পড়ুয়াকে স্মার্টফোন ও ডেটা প্যাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।