দুর্ঘটনায় ২ যুবকের মৃত্যু, রণক্ষেত্র ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটা
দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটা। বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় সাইকেল আরোহী দুই যুবকের। এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
দুর্ঘটনায় দুই যুবকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটা। বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় সাইকেল আরোহী দুই যুবকের। এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।
[আরও পড়ুন: রাজ্য জুড়ে ট্রাফিক নজরদারি, কর্নাটক যা পারে আমরা তা পারি না]
শনিবার বেলা ১১টা ২০ নাগাদ চিংড়িঘাটার একদিকের সিগন্যালে দাঁড়িয়েছিলেন দুই সাইকেল আরোহী। সেইদিকের সিগন্যাল সবুজ হওয়ায় তাঁরা সাইকেল চালানো শুরু করেন। অপর দিকে সিগল্যাল লাল হয়ে গেলেও বাস ড্রাইভার তা খেয়াল না করায় বাস চালাতে থাকেন। ফলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় দুই সাইকেল আরোহী।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি সিগন্যাল ভেঙেই এগিয়ে যাচ্ছিল বাসটি। ফলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার পরেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সুকান্ত পল্লী থেকে বহু মানুষ ছুটে যান ইএম বাইপাসে। প্রথমে একাধিক সরকারি ও বেসরকারি বাসে ইট ও লাঠি দিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ডেও ভাঙচুর চালানো হয়। ভাঙচুর চলে পুলিশের গাড়িতেও। সামান্য পুলিশকর্মীদের নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলে। পুলিশের লাঠিতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়রা। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। একটি সরকারি বাসে আগুন লাগানো হয়। বেশি সংখ্যায় পুলিশ কর্মী না থাকায়, বেকায়দায় পড়েন ডিউটিতে থাকা পুলিশকর্মীরা।
এদিকে, চিংড়িঘাটায় দুর্ঘটনার জেরে উল্টোডাঙা থেকে গড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ১১ কিমি রাস্তায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচল ব্যাহত হয়। আটকে পড়েন বহু মানুষ। আটকে পড়েন অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা রোগীও।