বিমানবন্দরেই উগরে দিলেন ক্ষোভ, অসম থেকে কলকাতা ফিরল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল
অসম থেকে কলকাতায় ফিরলেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা। কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পরই তারা অসমে তাদের উপর হওয়া হয়রানির বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
অসম থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছলেন তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পরই অসমে হেনস্থা হওয়া নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। ফিরহাদ হাকিম বলেন, একজন মন্ত্রী বা সাংসদকে যখন যেতে দেওয়া হচ্ছে না, তখন আমরা বিশ্বাস করি না অসমের গরীব প্রান্তিক মানুষরা সুবিচার পাবেন।
তিনি বলেন, স্বাধীন ভারতে ভারতবাসী হিসেবে সব জায়গায় যাওয়ার অধিকার আছে তাঁদের। অসমে তৃণমূল সংসদীয় প্রতিনিধি দল গিয়েছিলেন এনআরসি চালুর পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। এই প্রক্রিয়ায় কি ভুল হচ্ছে তা দেখে সংসদে আলোচনা করাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু তাদের বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়। তাঁরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাবেন বলে জানান।
পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির অভিযোগ ছিল তৃণমূলের প্রতিনিধিরা অসমে গিয়েছিলেন দাঙ্গা বাধাতে। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল প্রতিনিধিরা দাবি করেন, দাঙ্গাবাজ দল বিজেপিই। তারা যে রাজ্যেই গিয়েছে দাঙ্গা বাধিয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন ৫ জন সাংসদ ওকজন বিধায়ক ও একজন মন্ত্রী কী কোনও ভিনরাজ্যে গিয়ে দাঙ্গা বাধাতে পারেন?
সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের অভিযোগ, তাঁদের যে ১৪৪ ধারার জারির নির্দেশ দেখানো হয়, সেখানে লেখা ছিল সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র বা বিস্ফোরক থাকলে আটকানো হবে। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে সেরকম কিছু ছিল না, তবু তাঁদের রীতিমতো অনুপ্রবেশকারীদের মতো করে আটকানো হয়। এমনকী তার প্রতিবাদে তাঁরা যখন ধর্ণা দিচ্ছিলেন সেসময়ও তাঁদের নিগ্রহ করা হয়।
তৃণমূলের অভিযোগ এনআরি তালু করে যেভাবে বহু বছর ধরে বসবাসকারী মানুষদের নাম নাগরিকের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, তাতে শুধু বাঙালী নয়, বিহারি, নেপালি - সব সম্প্রদায়ের মানুষই বিপদে পড়েছেন। তাঁদের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, দলের সঙ্গে কথা বলে তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হবে বলে জানান তাঁরা।