৭৪তম বর্ষে 'দুর্গোৎসব নয়, শুধু দেবী দুর্গার পুজোই লক্ষ্য ত্রিধারা সম্মিলনীর
৭৪তম বর্ষে 'দুর্গোৎসব নয়, শুধু দেবী দুর্গার পুজোই লক্ষ্য ত্রিধারা সম্মিলনীর
করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে জনসমুদ্র এড়াতে ৭৪তম বর্ষে 'দুর্গোৎসব নয়, শুধু দেবী দুর্গার পুজোই লক্ষ্য ত্রিধারা সম্মিলনীর। প্রতি বছরই নতুন নতুন ভাবনায় তৈরি দুর্গাপুজোর মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখতে মানুষের ঢল নামে দক্ষিণ কলকাতার ত্রিধারা সম্মিলনীতে। কিন্তু এবছর এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে নিয়মরক্ষার্থে হবে দুর্গাপুজো। এবছর ত্রিধারা সম্মিলনী বলছে, এই অকালে বোধন থাক, উৎসব নয়। নর রূপে নারায়ণ, শিব জ্ঞানে জীব সেবার কথাই বলছে ত্রিধারা সম্মিলনী।
ত্রিধারা
সম্মিলনীর
তরফে
গার্গী
মুখোপাধ্যায়ের
জানান,
'এবছর
আমাদের
বোধ
হয়
একটু
অন্যভাবে
ভাবতে
হচ্ছে।
কারণ
সবার
আগে
মানুষের
কথা
ভাবাটাই
সবথেকে
বেশি
প্রয়োজন।
আজকের
দিনে
দাঁড়িয়ে
এই
যে
কোরোনার
সমস্যা
চলছে,
ট্রমাটা
চলছে,
প্রত্যেকের
মনেই
একটা
আতঙ্ক।
সেই
জায়গায়
দাঁড়িয়ে
আমার
মনে
হয়
প্রত্যেকেরই,
মানবিকতার
দিক
থেকেও
যদি
ভাবি
তাহলে
বোধহয়
এই
বছরটা
অন্তত
একটু
ছোটো
করে
সবকিছু
করাটাই
ভালো।
তিনি
জানান,
একদম
ছোট্ট
একটি
প্যান্ডেল
তৈরি
হচ্ছে।
এবছর
'নর
রূপে
নারায়ণ'
এই
বিষয়বস্তু
কে
সামনে
রেখে
একদম
সাধারণভাবে
শুধু
মায়ের
পুজোটুকু
নিষ্ঠাভরে
করাটাই
আমাদের
মূল
লক্ষ্য
ও
উদ্দেশ্য।
এই বছর থিম পুজোর চাকচিক্য না থাকলেও নিষ্ঠাভরে পুজা করায় একমাত্র লক্ষ্য পুজো উদ্যোক্তাদের। তাই মানুষ একবার হলেও ত্রিধারার মণ্ডপ দর্শন করতে চাইবেন। তাই ভিড় এড়াতে যেমন ছোটো আকারে পুজো হচ্ছে, তেমনি মানুষ যাতে ঘরে বসেই ত্রিধারার মণ্ডপ দর্শন করতে পারেন তার জন্যেও ব্যবস্থা থাকছে।
এ বিষয়ে গার্গী মুখোপাধ্যায় বলেন, 'মানুষ যাতে বাড়িতে থেকে ভার্চুয়ালিও দেখতে পারেন সেই ব্যবস্থাও করছি। সন্ধিপুজোয় যাতে ভিড় না হয় বা অষ্টমীর অঞ্জলিটা বাড়িতে বসেই দেওয়া যায়, যেমন আপনি বাড়িতে আপনার ঠাকুরের পায়েই ফুল দেবেন, কিন্তু মন্ত্রটা বা ঠাকুরের যে মূল পুজোটা হচ্ছে সেটা আপনি বাড়িতে বসেই দেখতে পাবেন, শুনতে পাবেন, এই রকম নানা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এখন ডিজিটাল গ্রাউন্ডটা খুব স্ট্রং এবং এটার এখন দরকার আছে। প্রত্যেকেরই বাড়িতে বয়স্ক মানুষ আছে, ছোটো বাচ্চা আছে। তাঁরা চাইবেন এই ভিড়ভাট্টা এড়িয়ে চলতে। কারণ সামাজিক দূরত্বটা একটা বড় ফ্যাক্টর। আমরা চেষ্টা করব গোটা ব্যাপারটাই যাতে ক্যামেরা দিক দিয়ে বা ডিজিট্যালি সম্প্রচার করা যায়। অনেক কিছু করার ভাবনা মাথায় আছে। যাতে বাড়িতে বসেই মানুষ ত্রিধারার পুজোটা দেখতে পারে। তার সঙ্গে টেম্পারেচার স্ক্রিনিং, স্যানিটাইজ়িংয়ের ব্যবস্থা, মাস্কের ব্যবস্থা রয়েছে। মাস্কের ডিসট্রিবিউশন করা হবে। যাতে যাঁদের কাছে মাস্ক নেই তাঁরাও মাস্ক পরতে পারেন।
এই বছর কোরোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই ছোটো করে পুজো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ত্রিধারার উদ্যোক্তারা। জানা গিয়েছে, প্রথমে খুঁটি পুজো করেই এই বছরের পুজো সারতে চেয়েছিলেন ত্রিধারা সম্মিলনীর সাধারণ সম্পাদক দেবাশিস কুমার। পরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিকা আসার পরে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে ছোটো আকারে পুজো করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী বছর ত্রিধারা সম্মিলনীর 75তম বর্ষে কোরোনা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটলে উৎসব নয়, মহোৎসব হবে বলে জানাচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
দলেই বিভীষণ কারা! নেতাদের নারকো টেস্টের দাবি মালদহের তৃণমূল সাধারণ সম্পাদকের