আম্ফানের তাণ্ডবে কেন উপড়েছে ৫৫০০টি গাছ, পরিবেশবিদের ব্যাখ্যায় কোন সর্বনাশের ইঙ্গিত
আম্ফানের তাণ্ডবে কেন উপড়েছে ৫৫০০টি গাছ, পরিবেশবিদের ব্যাখ্যায় কোন সর্বনাশের ইঙ্গিত
আম্ফানের তাণ্ডবে ৩ ঘণ্টার মধ্যে শহরের ৫৫০০ গাছ উপড়ে পড়েছে। বিধ্বস্ত অবস্থা শহরের। সবগুলিই বড় বড় বৃক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে শহরের রাস্তার সঙ্গী। কিন্তু সত্যিই কী ঝড়ের তীব্রতাই গাছ পড়ার কারণ। যদিও অন্য ব্যাখ্যা দিচ্ছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত।
৫৫০০ গাছ উপড়েছে শহরে
আম্ফানের তাণ্ডবে শহরে ৩ ঘণ্টার মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে। রাজপথ থেকে গলি সর্বত্র গাছ পড়ে রয়েছে। ১৪০ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া আম্ফানের তীব্রতা সহ্য করতে পারেনি গাছগুলি। সেকারণেই এই মহাপতন বলে দাবি করা হচ্ছে।
পরিবেশকর্মীর ব্যাখ্যা
আম্ফানের দাপট নয়, শহরে গাছ পড়ার কারণ অন্য এমনই দাবি করেছেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। তিনি বলেছেন চরম অবহেলা আর নির্যাতনের শিকার হতে হতে শহরের গাছগুলি মৃত্যুর দোরগোড়ায় এসে দাঁড়িেয়ছিল। যার পরিণতি হয়েছে আম্ফানের ছোঁয়ায়। শহরের ফুটপাথ জুড়ো থাকা গাছগুলির চারপাশ বাঁধিয়ে দিয়ে শিকড় আলগা করে দেওয়া হয়েছে। প্রায় সবগাছের গায়েি জড়িয়ে তার। কোথাও বিদ্যুতের তার, কোথাও কেবলের তার তো কোথাও টেলিফোনের তার। যার ভার নিতে নিতে ক্ষমতা হািরয়েছিল গাছগুলি।
চূড়ান্ত অবহেলার শিকার
রাজপথ থেকে গলি সর্বত্রই রাস্তার ধারের গাছগুলি চূড়ান্ত অবহেলার শিকার হয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে। প্রতিবছন নির্বিচারে ডাল কেটে ফেলায় হয় গাছগুলির। কিন্তু সেরকম যত্ন নেওয়া হয় না। গ্রীষ্মে জল পায় না। আর বর্ষায় জলে ডুবে থাকে। ভ্রুক্ষেপ নেই বনদফতরের। এই উদাসীনতার মাশুল গুণছে এখন কলকাতা। এমনই অভিযোগ করেছেন তিনি।
যথেচ্ছ ভাবে গাছ কাটা
যশোর রোডের দুধারে প্রাচীণ আখ্যা দিয়ে গাছ কাটা হয়েছে অবৈজ্ঞানীক ভাবে। কিন্তু সেতুলনায় গাছ লাগানো হয়নি। ফলে অনেক গাছেরই অযত্ন আর অবহেলার কারণে মাটি শক্ত করে ধরে রাখতে পারেনি। উপড়ে পড়ে গিয়েছে। আম্ফানের গতির ভার সামলাতে পারেনি গাছ গুলি। তাই এই করুণ পরিণতি।
বাড়ছে সংক্রমণ, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত ২০৮, মৃত্যু ৩ জনের