ট্রামের আদলে পুজোর আগে কলকাতায় খুলল চায়ের দোকান
ট্রামের আদলে পুজোর আগে কলকাতায় খুলল চায়ের দোকান
বেশ কিছুদিন আগে কলকাতার বইপ্রেমী ও ভ্রমণবিলাসীদের জন্য ট্রাম লাইব্রেরির উপহার দিয়েছিল রাজ্যের পরিবহণ দপ্তর। দেখা গিয়েছিল কলকাতার এক বগির এই ট্রামে ৩২টি আসন রয়েছে। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এই বগির ভেতরে রয়েছে বেশ কিছু বই। তবে শুধু বই নয় থাকছে ওয়াইফাই ব্যবস্থাও। যাতে এই ট্রাম লাইব্রেরিতে যে সমস্ত যাত্রীরা ভ্রমণ করবেন তারা যেন তাদের স্মার্টফোনেও ই-বুক গুলো পড়ে নিতে পারেন খুব সহজেই। এবার ট্রামের আদলে চায়ের দোকান খুলে গেল কলকাতার মানুষের জন্য।
অনেক লেখকের লেখনীতেও উঠে এসেছে ট্রামের প্রসঙ্গ। আবার সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতি এই চা নিয়েও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ট্রামের সঙ্গে সঙ্গে চায়ের দোকানের মিল খুঁজে দিতে কুমোরটুলিতে চালু হল ট্রামের আদলে চায়ের দোকান। পুজোর আগেই কুমোরটুলির কাছে এটা নতুন আকর্ষণ বলেই মনে করছেন এপাড়ার অনেকেই
পাশাপাশি মানিকদার এই চায়ের দোকানে এলেই উত্তর পাওয়া যাবে ট্রামের সঙ্গে চায়ের সম্পর্কের। তাই তো কবি বলেছেন, 'মেলাবেন তিনি মেলাবেন।' ট্রাম আর চায়ের মধ্যে সত্যি কোন সম্পর্ক আছে কিনা সেই উত্তর মিলিয়ে দিয়েছেন মানিকদা। উত্তরটা হলো ট্রাম আর চায়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক আছে।
মানিকদার কথায়, 'কলকাতার ট্রামের একটা আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে। সেই ঐতিহ্যের কথা মনে রেখেই ট্রামের আদলে বদলে ফেললাম চায়ের দোকান।' কুমোরটুলি অঞ্চলে যাঁরা আসেন তাঁদের কাছে পরিচিত মানিকদার চায়ের দোকান। এখানে ১০ টাকা থেকে ২৫ টাকার নানা স্বাদের চায়ে চুমুক দিতে দিতে পুরনো কলকাতার ছোঁয়া মিলবে ট্রামের বহিরঙ্গে।
তাই এখন মানিকদার চায়ের দোকানটাই এখন আস্ত ট্রামগাড়ি। তফাৎ শুধু চলে না, এই যা। পুজোর মুখে কুমোরটুলিতে শুধু পুজোর উদ্যোক্তারাই আসেন না, সাধারণ মানুষও ভিড় জমান এখানে। রংবেরঙের বহু মডেল রাও হাজির হন ফটোশুটের জন্য। হাজির হন ক্যামেরাওয়ালা রাও। তাই তাদের কাছে এক নতুন চমক বলা যায়।