দল ও সরকারি পথ থেকে অপসারণের পরে আবারও খাঁড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওপরে! এবার সরানো হল বিধানসভার কমিটি থেকে
তৃণমূলের (Trinamool Congress) জন্মলগ্ন থেকে দলের মহাসচিব ছিলেন। কিন্তু এসএসসির (ssc) নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ইডির (ED) গ্রেফতারের পরেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় সেই পদ থেকে। সেই সময় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় সরকার
তৃণমূলের (Trinamool Congress) জন্মলগ্ন থেকে দলের মহাসচিব ছিলেন। কিন্তু এসএসসির (ssc) নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) ইডির (ED) গ্রেফতারের পরেই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় সেই পদ থেকে। সেই সময় তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয় সরকারি সব পদ থেকে। এবার বিধায়ক হিসেবে থাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) সরিয়ে দেওয়া হল বিধানসভার (assembly) সব কমিটি থেকে।
পরিষদীয় দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত
পার্থ চট্টোপাধ্যায় দলের মহাসচিব থাকার পাশাপাশি ছিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী এবং শিল্পমন্ত্রী। কিন্তু ইডির গ্রেফতারির পরেই সরকারি ও দলীয় সব পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পার্থ চট্টোরাধ্যায়কে। দলের মহাসচিবের পদ ও অবলুপ্ত করে দেওয়া হয়। এবার সেই পরিষদীয় দলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে তাঁকে বিধানসভার সব কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার।
কেন এই সিদ্ধান্ত
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিধানসভার সব কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হিসেবে বলা হয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেলে রয়েছেন। তিনি কবে জেল থেকে ছাড়া পাবেন তার ঠিক নেই। তাই তাঁকে বিধানসভার কমিটিতে রাখা অর্থহীন। বিধানসভা সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ছাড়া পেলে প্রয়োজনে তাঁকে অন্য কমিটিতে নেওয়া হবে।
বিধায়করা ন্যূনতম বিধানসভার দুটি করে কমিটিতে থাকেন
রাজ্যের সব বিধায়কই বিধানসভায় ন্যূনতম দুটি করে কমিটিতে থাকেন। একটি হল বিধানসভার কমিটি এবং অপরটি হল স্ট্যান্ডিং কমিটি। এই দুই কমিটির বৈঠকে হাজিরার মাধ্যমে ভাতা পান বিধায়করা। মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পরেও বিধায়ক হিসেবে কমিটিতে পার্থ চট্টাপাধ্যায়ের থেকে যাওয়ায় আইনসম্মত বাধা ছিল না বলেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এর পরেও তাঁকে বিধানসভার সব কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার ঘটনা যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ।
অধ্যক্ষের অবস্থান
সূত্রের
খবর
অনুযায়ী,
ঘনিষ্ঠমহলে
বিধানসভার
অধ্যক্ষ
বিমান
বন্দ্যোপাধ্যায়
জানিয়েছেন,
পার্থ
চট্টোপাধ্যায়
জেল
থেকে
ছাড়া
পেলে
এব্যাপারটি
পর্যালোচনা
করা
হবে।
প্রয়োজন
হলে
তাঁকে
অন্য
কমিটিতে
রাখা
হতে
পারে।
তবে
এই
মুহূর্তে
তাঁকে
কোনও
কমিটিতেই
রাখা
হচ্ছে
না।
২০০১
সালে
বেহালা
পশ্চিম
কেন্দ্রে
সিপিএম-এর
নির্মল
মুখোপাধ্যায়কে
হারিয়ে
প্রথমবার
বিধায়ক
হন
পার্থ
চট্টোপাধ্যায়।
সেই
সময়
তিনি
দলের
মহাসচিবও
ছিলেন।
তারপর
থেকে
২০০৬,
২০১১,
২০১৬
এবং
২০২১-এর
নির্বাচনে
তিনি
ওই
কেন্দ্র
থেকেই
জয়ী
হয়েছেন।
২০০৬
সালে
তিনি
রাজ্যের
বিরোধী
দলনেতাও
ছিলেন।
তবে
এরই
মধ্যে
দলের
সুপ্রিমো
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ই
হোন
কিংবা
সাংসদ
সৌগত
রায়,
বর্তমানে
দুই
জেল
বন্দি
নেতা
পার্থ
চট্টোপাধ্যায়
এবং
অনুব্রত
মণ্ডলকে
দুভাবে
দেখছেন।
পার্থ
চট্টোপাধ্যায়ের
ঘনিষ্ঠের
ফ্ল্যাট
থেকে
৫০
কোটি
টাকা
নগদে
উদ্ধার
হলেও
অনুব্রত
মণ্ডলের
ক্ষেত্রে
তা
হয়নি।
এমনটা
বলেছিলেন
সৌগত
রায়।
সেই
পরিস্থিতি
পার্থ
চট্টোপাধ্যায়কে
বিধানসভার
সব
পদ
থেকে
সরিয়ে
দেওয়ার
ঘটনায়
অবাক
হওয়ার
কিছু
নেই
বলেই
মনে
করছেন
রাজনৈতিক
বিশ্লেষকরা।
Bank Holidays September 2022: সেপ্টেম্বরে ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকবে ১৩ দিন, ছুটির দিনের তালিকা একনজরে