কলাপাতার থালা তবু জুটেছিল, এবার চেয়ারও জুটল না অমিত শাহের, কটাক্ষ মদনের
দার্জিলিংয়ের নকশালবাড়িতে মাহালি পরিবারে তবু কলাপাতার থালা জুটেছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর, পুরুলিয়ার লাগদার রাজোয়ার পরিবারে চেয়ারও পেলেন না তিনি।
দার্জিলিংয়ের নকশালবাড়িতে মাহালি পরিবারে তবু কলাপাতার থালা জুটেছিল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর, পুরুলিয়ার লাগদার রাজোয়ার পরিবারে চেয়ারও পেলেন না তিনি। বিজেপি সভাপতিকে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা মদন মিত্র হুঙ্কার ছাড়লেন পরেরবার যখন আসবেন তখন পায়ের তলায় মাটিও থাকবে না।
শুক্রবার পুরুলিয়া লাগদা গ্রামের যে পরিবারে গিয়েছিলেন অমিত শাহ, সেই পরিবারের সদস্যদের পাশে নিয়ে মদন মিত্র বলেন, মাহালি পরিবারে কলা পাতার থালায় মুগের ডাল আর পোস্ত বড়া খেয়েছিলেন অমিত শাহ। এবার রাজোয়ার পরিবারে গিয়ে বসার চেয়ারটুকুও জোটেনি বিজেপি সভাপতির। আর আগামীবার এলে তিনি বাংলায় ঢুকতেই পারবেন না, কারণ বিজেপির পায়ের তলার মাটিটুকুএ থাকবে না।
[আরও পড়ুন:বিজেপি সভাপতি ঢুকতেই ওঁরা বলল- আমরা তৃণমূল করি! তা শুনেই ফিরেছিলেন অমিত]
মদনের কটাক্ষ, ভারতজুড়ে তাড়া খেয়ে বাংলায় আসতে চাইছেন অমিত শাহরা। কিন্তু এই বাংলাতেই তাঁদের কফিনে শেষ পেরেক পুতে দেওয়া হবে। কারণ এটা মধ্যপ্রদেশ-উত্তরপ্রদেশ নয়, এটা বাংলা। এখানে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই হয়। এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না আমরা। আসন্ন লোকসভা ভোটেই জবাব পেয়ে যাবে বিজেপি। বাংলা থেকে বিদায় হয়ে যাবে।
এদিন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র ও শান্তনু সেনের হাত ধরে পুরুলিয়ার রাজোয়ার পরিবারের সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁরা তৃণমূলের পাশে থাকার বার্তা দেন। জানান, কোনওদিন প্রত্যক্ষ রাজনীতি তাঁরা করেননি। রাজনীতির কিছু তাঁরা জানেন না। তাঁরা শুধু জানেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মমতা-স্পর্শে অভব-অনটন সরিয়ে পরিবারে দু-মুঠো অন্য জুটছে। অন্ধকারের দিন পেরিয়ে আলোর মুখ দেখেছে জঙ্গলমহল।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের দেওয়া কোনও সুযোগ-সুবিধা নেবেন না বাবুল, সংঘাতের পথেই প্রতিবাদ ]