‘নৈতিক’ জয়ে উৎফুল্ল সুজনরা, রাজ্যকে প্যাঁচে ফেলে নিঃশর্ত মুক্তি ১৯৪ ‘বন্দি’র
সুজন চক্রবর্তী-সহ ১৯৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের পর তাঁদের জামিন নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছিল রাজ্য প্রশাসন। শেষে সমস্যা মেটাতে নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল।
সুজন চক্রবর্তী-সহ ১৯৪ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারের পর তাঁদের জামিন নিয়ে মহাবিপাকে পড়েছিল রাজ্য প্রশাসন। শেষে সমস্যা মেটাতে নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হল। সুজন চক্রবর্তী-রা ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন নিতে নারাজ হওয়াতেই সঙ্কটে পড়ে পুলিশ। তাঁদের আদালতে পেশ করার সময় ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়াতেই সমস্যা।
বনধ পালনে যাদবপুরে মিছিল বের হয়েছিল বিধায়ক সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে। পুলিশ সেই মিছিলে বাধা দিয়ে গ্রেফতার করে সুজন চক্রবর্তীদের। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের আদালতে পেশ করতে না পারায়, শেষমেশ তাঁদের নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়ার কথা জানানো হয়। গ্রেফতার হওয়া সমস্ত বনধ পালনকারীদেরই নিঃশর্তে মুক্তি দেওয়ার কথা জানায় প্রশাসন।
ফলে আলিপুর আদালতে পেশ না করেই লালবাজার থেকে তাঁদের মঙ্গলবার রাতেই মুক্তি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় কার্যত পিছু হটল রাজ্য প্রশাসন। কারণ সুজন চক্রবর্তীদের দাবি ছিল, তাঁদের বেআইনিভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, নিঃশর্তে তাঁদের মুক্তি দিতে হবে। কেউ তাঁরা টিআর বন্ডে সই করবেন না। শেষপর্যন্ত দাবি মেনে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হয় বামনেতা-কর্মীদের। এই ঘটনাকে তাঁদের নৈতিক জয় বলে ব্যাখ্যা করছেন সুজন চক্রবর্তী।
উল্লেখ্য, এদিন শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৩৬৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তাঁদের মধ্যে কিছু নেতা-কর্মীর কোমরে দড়ি বেঁধে আদালতে পেশ করতে গিয়ে ধাক্কা খায় প্রশাসন। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। বাধ্য হয় কোমরের দড়ি খুলে আদালতে পেশ করতে। সেখানে একপ্রস্থ পরাজয় ঘটে প্রশাসনের। পরে বাকিদের নিঃশর্তে মুক্তি দিয়ে আর এক প্রস্থ পরাজয় ঘটে বলে ব্যাখ্যা করে বাম নেতৃত্ব।