করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কলকাতা বিমানবন্দরে চীনা যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কলকাতা বিমানবন্দরে চীনা যাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা
সম্প্রতি নতুন এক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, যার নাম নোভেল করোনাভাইরাস (এনকভ)। চীন থেকেই এই ভাইরাসের আগমন। ইতিমধ্যেই ভারতের সাতটি বিমানবন্দরে এই ভাইরাসের সতর্কতা জারি হয়েছে। কলকাতাকে এই এনকভ থেকে বাঁচাতে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ চীন থেকে আগত যাত্রীদের জন্য বিশেষ স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করেছে।
কলকাতা বিমানবন্দরে বিশেষ ব্যবস্থা
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাপযুক্ত ক্যামেরা সহ নতুন একটি কাউন্টার খোলা হয়েছে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে হংকং সহ চীন থেকে আগত যাত্রীদের প্রাক-অভিবাসন স্বাস্থ্য স্ক্রিনিংয়ের বন্দোবস্ত রয়েছে সেখানে। বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরকে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। বিমান মন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আলাদা কাউন্টার খুলেছে। চীন থেকে যে সমস্ত যাত্রী বুধবার রাতে শহরের বিমানবন্দরে এসেছেন তাঁদের প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এমকভ ভাইরাসের কোনও লক্ষণ তাঁদের মধ্যে পাওয়া যায়নি। দমদম বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে এই রোগের লক্ষণ রয়েছে এমন কোনও যাত্রীর সন্ধান এখনও পর্যন্ত পাওয়া যাযনি। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে।
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের রোগের চিকিৎসা
প্রসঙ্গত, চীনের উহান ও হুবেই প্রদেশে এই নোভেল করোনারিভাইরাস মারাত্মকভাবে প্রভাব ফেলেছে। রাজ্য স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে এই রোগের চিকিৎসার সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। বুধবারই এই হাসপাতালে সংক্রামিত রোগীদের আলাদা করে রাখার জন্য ১৬টি কেবিন ও দু'টি আইসিইউ প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চীন থেকে যদি কেউ আসেন এবং তাঁর অনবরত হাঁচি ও কাশি হতে থাকে, তবে ওই পুরুষ বা মহিলার দিকে দ্রুত মনোযোগ দিতে হবে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে রয়েছে সব ধরনের ব্যবস্থা। স্বাস্থ্য ভবনের সঙ্গে কথা হলে প্রাথমিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর মতো যাবতীয় ওষুধপত্রও মজুত রাখা হয়েছে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ টিম তৈরি রাখা হয়েছে।
করোনাভাইরাসের লক্ষণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, নোভেল করোনাভাইরাস বা উহান ভাইরাসের সংক্রমণ অনেকটাই সার্স বা ‘সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোম'-এর মতো। প্রবল জ্বর-সর্দি-কাশি থেকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন রোগী। সংক্রমণ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে গোটা শরীরেই। বিকল হতে শুরু করে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ। শেষ পরিণতি মৃত্যু। অনুমান, এই সংক্রমণ মানুষের মাধ্যমেও ছড়াতে শুরু করেছে। যার জন্য বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের প্রতিটি কেবিনে আইসোলেশন ওয়ার্ডের মতো ব্যবস্থা রয়েছে। প্রত্যেক রোগীর জন্য থাকবে আলাদা অক্সিজেন মাস্ক। বাথরুমও হবে আলাদা। ২৪ ঘণ্টা রোগীদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
লোকসভা ভোট আজ হলে বিজেপির 'বিপদ'বাড়ত! কী বলছে MOTN সমীক্ষা