‘ছোটো বোন’ মমতাকে পদ্মা সেতু দেখার আমন্ত্রণ, চিঠিতে কী লিখলেন ‘বড়ো দিদি’ শেখ হাসিনা
‘ছোটো বোন’ মমতাকে পদ্মা সেতু দেখার আমন্ত্রণ, চিঠিতে কী লিখলেন ‘বড়ো দিদি’ শেখ হাসিনা
সম্প্রতি উদ্বোধন হয়েছে এশিয়ার অন্যতম দীর্ঘ সেতু। সেই সেতু দেখতে এবার বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্যোদ্পাধ্যায়কে চিঠি দিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা। বাংলাদেশে আসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, এই সেতু বাংলাদশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের আত্মিক বন্ধন দৃঢ় করবে।
বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের আত্মিক বন্ধন
মুজিব-কন্যা শেখ হাসিনা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে লিখেছেন, আপনার চিঠির জন্য ধন্যবাদ। আপনার আন্তরিকতা ও হৃদ্যতা আমাকে মুগ্ধ করছে। আমরা নিজের প্রচষ্টায় পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ করেছি। এই সেতু বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ ও সমগ্র ভারতের আত্মিক বন্ধন দৃঢ় করেছে। আমাদের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কে সম্ভাবনার নতুন দ্বার উন্মোচন হবে বলে আমি আশা করি।
সময় করে পদ্মা সেতু দেখে যান, আমন্ত্রণ
এরপর তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানান। লেখেন, আপনার সুবিধা মতো বাংলাদেশ সফরে আসুন। আপনাকে আমার তরফে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। ২০২২ সালে সেপ্টেম্বরে দিল্লি সফরে আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে বলে আশা করি। তার মধ্যে আপনি সময় করে পদ্মা সেতু দেখে যান। আপনি এলে আমাদের ভালো লাগবে।
উভয়ের মধ্যে সখ্যতার সেই ছবি স্পষ্ট
দু-বছর আগে ইডেন গার্ডেন্সে ভারত-বাংলাদেশের গোলাপি টেস্ট উপলক্ষে কলকাতায় এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেসময় ইডেনে মমতা-হাসিনাকে একসঙ্গে দেখা যা। তারপর তাঁরা আলাদা করে বৈঠকও করেন। দুই বাংলার প্রধানের মধ্যে দীর্ঘ আলাপচারিতা হয়। উভয়ের মধ্যে সখ্যতার সেই ছবি ফের উঠে আসতে পারে পদ্মা সেতুর পরিদর্শনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেতে সম্মত হলে।
কত সময় লাগবে পদ্মাপারর দেশে যেতে
গত ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন শেখ হাসিনা। ফলে ঢাকা ও কলকাতার দূরত্ব আরও কমে গিয়েছে। অন্তত ১৫০ কিলোমিটার দূরত্ব কমেছে ওপার বাংলা ও ওপার বাংলার। আগে বাংলার রাজধানী কলকাতা থেকে ওপার বাংলার রাজধানী ঢাকায় পৌঁছেতে পাড়ি দিতে হত ৪০০ কিলোমিটার। সময় লাগে ১০ ঘণ্টা। এখন ২৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিলেই হবে। সময় সাগবে ৬ থেকে সাড়ে ৬ ঘণ্টা।
বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের প্রতীক পদ্মা সেতু
খরস্রোতা পদ্মার উপর সুদীর্ঘ এই সেতু বানানো ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পর দশের সবথেকে বড় ঘটনা বলে দাবি করছে বাংলাদেশের প্রশাসন। এই সেতুকে ঘিরে আবেগতাড়ির বাংলাদেশের মানুষ তাই ঐতিহাসির মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে বহু মানুষের ভিড় জমেছিল পদ্মা সেতুতে। পদ্মা সেতু দিয়ে রেকর্ড সংখ্যক যান চলাচল শুরু করে দিয়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের প্রতীক হয়ে উঠেছে পদ্মা সেতু।