মোদী-অমিতের কোন পরামর্শ নিয়ে কলকাতায় আসছেন মুকুল, ফোনে দিলীপকে কী বার্তা
শুক্রবার তিনি গেরুয়া নামাবলী গায়ে চড়িয়েছেন। তার একদিন পরেই দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ফোন করে ২০ মিনিট কথা বললেন তিনি। দিলেন প্রয়োজনীয় বার্তা।
তৃণমূলের 'চাণক্য' এখন দলবদলে বিজেপি নেতায় রূপান্তরিত হয়েছেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে তাঁর দায়িত্ব সম্বন্ধে অবহিত হয়েছেন ইতিমধ্যে। তারপরই তিনি ফোন করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সবিস্তারে জানালেন তাঁর লক্ষ্য। ফোনেই তিনি দলের বিস্তারে নয়া দিশা দিলেন। তাঁদের পরবর্তী চলার পথ কী হবে, সেই নীতি নির্ধারণেও আলোচনা করলেন।
শুক্রবার তিনি গেরুয়া নামাবলী গায়ে চড়িয়েছেন। তার একদিন পরেই দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে ফোন করে ২০ মিনিট কথা বললেন তিনি। তিনি বার্তা দিলেন, 'এক সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে হবে। বিজেপির বিস্তারের জন্য কোনও ভেদাভেদ রাখলে চলবে না।' তিনি এদিন দিলীপ ঘোষ ছাড়াও বিজেপির রাজ্যস্তরের অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন।
মুকুল রায় এদিন ফোন করেও রাজ্যের নেতাদের বার্তা দেন, 'কংগ্রেস দিয়ে শুরু করেছিলাম আমার রাজনৈতিক জীবন। তারপর জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটিয়েছি তৃণমূলে। তৃণমূলের জন্য প্রাণপাত করেছিল। আর শেষ জীবনে এসে যোগ দিলাম বিজেপিতে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এই দলেই থাকতে চাই। চাই সকলকে নিয়ে কাজ করতে। দলকে একটা নির্দিষ্ট উচ্চতায় নিয়ে যেতে। আশা করি আপনারা আমাকে সঙ্গ দেবেন।'
আদর্শ নেতার মতোই এদিন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। কদিন আগেই অসুস্থ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে তাঁর আরোগ্য কামনা করেছেন। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে দলের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তখন অবশ্য তিনি বিজেপিতে যোগ দেননি। এদিন যোগ দিয়েই রাজ্য নেতাদের শোনালেন একতার বার্তা।
এদিন দিলীপবাবুকে ফোন করে তিনি জানিয়ে দেন, আগামী ৬ নভেম্বর কলকাতায় ফিরছেন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি দলীয় কার্যালয়ে যাবেন। সকলের সঙ্গে পরিচিত হবেন। তারপর সকলের সঙ্গে বসে পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করবেন। ১০ নভেম্বর বিজেপির ধর্মতলার সভায় তিনি বিজেপি নেতা হিসেবে প্রথম আত্মপ্রকাশ করতে পারেন বলেও আভাস মিলেছে। দিলীপ ঘোষের কথাতেই মেলে সেই ইঙ্গিত।