টানা ১১ দিনের ছুটি ঘোষণা করলেন মমতা, পুজোর আগেই খুশির খবর সরকারি কর্মচারীদের
সরকারি কর্মচারীদের টানা ১১ দিন ছুটি রাজ্যে। ঘোষণা করলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ছুটি।
সরকারি কর্মচারীদের টানা ১১ দিন ছুটি রাজ্যে। ঘোষণা করলেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ছুটি। টানা ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ছুটি থাকবে রাজ্যে। ১১ অক্টোবর ফের সরকারি অফিস খুলবে।
১১ দিন ছুটি থাকবে টানা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ১১ দিন ছুটি থাকবে টানা। এছাড়াও কালীপুজোর ছুটি থাকবে। ছুটি থাকবে ছট পুজোরও। এবার মহালয়া পড়েছে ২৫ সেপ্টেম্বর। তারপরই শুরু হয়ে যাচ্ছে দেবীপক্ষ। ৩০ সেপ্টেম্বর পঞ্চমীর দিন থেকে ছুটি পড়ছে পুজোর। ৫ অক্টোবর দশমী। ৫, ৬ ও ৭ অক্টোবর পর্যন্ত জেলার প্রতিমা বিসর্জন চলবে। জেলায় কার্নিভাল হবে ৭ অক্টোবর। ৮ অক্টোবর কলকাতায় কার্নিভালের পর বিসর্জন হবে।
দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজো ছুটি
৯ অক্টোবর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। ওই দিন রবিবার। ফলে পরদিন ১০ অক্টোবর সোমবার লক্ষ্মীপুজোর ছুটি পাবেন সরকারী কর্মচারীরা। ১১ অক্টোবর থেকে ফের খুলবে সরকারি অফিস। মুখ্যমন্ত্রীর আশা, এবার বাংলার দুর্গাপুজো আবার পুরনো ছন্দে ফিরবে। এবার কার্নিভ্যাল হবে দুদিন। ৭ অক্টোবর জেলায় জেলায় কার্নিভ্যাল আর পরদিন ৮ অক্টোবর কলকাতায় কার্নিভ্যাল।
১ সেপ্টেম্বর থেকেই পুজো বাদ্যি
ইউনেস্কো বাংলার দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে। বিদেশ থেকে এবার পুজোয় অনেক অভ্যাগতরা আসবেন, কলকাতার পুজো দেখতে। আসবেন ইউনেসকোর প্রতিনিধি। কার্নিভ্যালেও অংশ নেবেন বিদেশি অভ্যাগতরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এবার ১ সেপ্টেম্বর থেকেই পুজো বাদ্যি বেজে যাবে। ওইদিন মহামিছিলের মধ্যে দিয়ে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে কলকাতা তথা বাংলায়।
বাংলার দুর্গাপুজোকে বিশ্ব-স্বীকৃতিতে মহামিছিল
বাংলার বড় উৎসব দুর্গাপুজো। তা বিশ্বের দরবারে অন্যতম সেরা উৎসবের স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে ইতিমধ্যেই। বাংলার দুর্গাপুজো ঢুকে পড়েছে ইউনেস্কোর ঐতিহ্যের তালিকায়। ইউনেস্কো বাংলার দুর্গাপুজোকে বিশ্ব-স্বীকৃতি দেওয়ায় মহামিছিলের ডাক দিয়েছেন মমতা বন্যোকোপাধ্যায়। ১ সেপ্টেম্বর বেলা ২টোয় জোড়াসাঁকো ঠাকরুরবাড়ি থেকে মিছিল করবে। ধর্মতলায় শেষ হবে মিছিল। সেখানে মঞ্চে মাটির দুর্গা প্রতিমা নিয়ে সংবর্ধনাজ্ঞাপন করা হবে ইউনেস্কোকে।
ঐতিহাসিক দুর্গাপুজোর মিছিলের সাক্ষী থাকতে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ওইদিন কলকাতার রাজপথে মানুষের ঢল নামবে। বেলা ১টার মধ্যে স্কুলছুটির পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। রাজ্যের প্রায় ১০ হাজার পড়ুয়াকে ওইদিন মিছিলে শামিল করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। মোট কথা, ওইদিন থেকেই পুজোর বাদ্যি বাজিয়ে দিতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, পড়ুয়ারাই আমাদের ভবিষ্যৎ, আমরা চাই ওরা এই ঐতিহাসিক দুর্গাপুজোর মিছিলের সাক্ষী থাকুক।
২০১৮-র পুনরাবৃত্তি চান না অভিষেক, তৃণমূলের তিন জেলা নেতৃত্বকে পঞ্চায়েত বার্তা