ভোটের আগে দাঙ্গায় ইন্ধন আরএসএস-বিজেপির! প্ররোচনামূলক প্রচারের অভিযোগ মমতার
সামনেই লোকসভা ভোট। ভোটের আগে নয়া জিগির তুলে রাজ্যে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে আরএসএস ও বিজেপি।
সামনেই লোকসভা ভোট। ভোটের আগে নয়া জিগির তুলে রাজ্যে দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে আরএসএস ও বিজেপি। সম্প্রতি রাজ্যে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে প্ররোচনামূলক ছবি ও ভিডিও। বোরখা পরা ছেলেধরা ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে প্রচারা করা হচ্ছে। আর এসবই করা হচ্ছে রাজ্যে দাঙ্গা বাধানোর জন্য।
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি ও আরএসএসকে কাঠগড়ায় তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তিপূর্ণ বাংলাকে অহেতুক অশান্ত করে তোলার চেষ্টা চলছে। রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্যই এসব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁর। মমতা বলেন, আরএসএস-বিজেপি-ভিএইচপি পরিকল্পনা করে বাংলায় দাঙ্গা বাধানোর চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, রাজনীতির নামে কোনওভাবেই অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। বাংলায় দাঙ্গা বাঁধামোর এই অপচেষ্টা রুখতে হবে। তিনি প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সাধারণ মানুষের সংবেদনশীলতাকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে আরএসএস-বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কলকাতা-সহ বেহালা, বনগাঁ, কসবা, আনন্দপুর এবং রাজ্যের জেলায় জেলায় ছেলেধরা আতঙ্কে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে। বোরখায় মুখ ঢেকে ছেলেধরা আসছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। যার ফলে বোরখা পরিহিত নিরীহ মানুষও টার্গেট হয়ে যাচ্ছে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ছে। হিংসা বাড়ছে।
[আরও পড়ুন: তৃণমূলের ৪২-এ ৪২-এর পথে বাধা কে, সঠিক টার্গেটেই 'মিনি ব্রিগেডে'র ডাক শুভেন্দুর]
আসলে এই হিংসা, দাঙ্গা বাঁধানোই কিছু মানুষের উদ্দেশ্যে। মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, সোশাল মিডিয়ায় যে সমস্ত প্রচার চলছে, তেমন কোনও প্রামান্য পাওয়া যায়নি, প্রশাসন অ্যালার্ট রয়েছে। আপনারাও সচেতন হোন। এই প্ররোচনায় পা দেবে না। আরএসএস-বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বিজেপির পরিকল্পিত গেম ভেস্তে দিন সবাই এক হয়ে।