এলাকায় মাদক বিক্রির প্রতিবাদ, গভীর রাতে অগ্নিগর্ভ যাদবপুর, পালিয়ে বাঁচলেন পুলিশকর্মী
চায়ের দোকানের আড়ালে মাদক বিক্রির অভিযোগে রবিবার গভীর রাতে উত্তাল হল যাদবপুর থানা এলাকার প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোড এলাকা। স্থানীয়রা দোকানে আগুন লাগানোর পাশাপাশি পুলিশের ওপরেও আক্রমণ করে।
চায়ের দোকানের আড়ালে মাদক বিক্রির অভিযোগে রবিবার গভীর রাতে উত্তাল হল যাদবপুর থানা এলাকার প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোড এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা দোকানে আগুন লাগানোর পাশাপাশি পুলিশের ওপরেও আক্রমণ চালান। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রবিবার রাত এগারোটা। স্থানীয় এক মাদকাসক্ত যুবক অমিত রায়ের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়া পড়ে যাদবপুর থানা এলাকার প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোড এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চায়ের দোকানের আড়ালে মাদক বিক্রির কাজ চলে। পুলিশকে বিষয়টি জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে স্থানীয় কম বয়সী ছেলেরা প্রবলভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। মাদক বিক্রেতারা পুলিশকেও হাত করে নেয় বলে অভিযোগ। ফলে পুলিশের ওপরও ক্ষিপ্ত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ক্ষোভ বাড়ছিল দিনের পর দিন। এরপর রবিবার রাতে স্থানীয় এক মাদকাসক্ত যুবকের আত্নঘাতী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাস্তা আটকে শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। নির্দিষ্ট দোকানে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রথম কম সংখ্যা পুলিশ গেলে তারাও বিপাকে পড়েন। পুলিশকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বেশ কয়েকজন এক পুলিশকর্মীকে কোনও রকমে একটি বাড়িতে ঢুকিয়ে জনরোষ থেকে বাঁচান। বাকি বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী পালিয়ে বাঁচেন।
ঘণ্টা খানেক ধরে এলাকায় তাণ্ডব চলতে থাকে। রাত বারোটা নাগাদ এলাকায় ঢোকে বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্থানীয়দের বিক্ষোভের মাত্রা আরও চড়তে থাকে। পরে বেশি রাতের দিকে অবস্থা সামাল দেয় পুলিশ। রাস্তায় ছড়িয়ে থাকা জ্বলন্ত টায়ার-সহ বেশ কিছু জিনিস সরিয়ে দেয় পুলিশ। ঘটনার জেরে এখনও পর্যন্ত ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।