চিহ্নিত সাইবার প্রতারক! কলকাতায় ব্যাঙ্ক প্রতারণা কাণ্ডে সামনে নতুন তথ্য
রাজ্যের বাইরের এটিএম থেকে একেরপর এক গ্রাহকের টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ। এটিএম-এর সিসিটিভি পরীক্ষা করে তদন্তকারীরা নিশ্চিত এপ্রিল মাস থেকে প্রতারণার ছক শুরু করে ওই প্রতারক।
রাজ্যের বাইরের এটিএম থেকে একেরপর এক গ্রাহকের টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত লালবাজারে ৭৬ টি অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানা গিয়েছে। এটিএম-এর সিসিটিভি পরীক্ষা করে তদন্তকারীরা নিশ্চিত এপ্রিল মাস থেকে প্রতারণার ছক শুরু করে ওই প্রতারক।
এবছরের এপ্রিল থেকে এটিএম কার্ড ক্লোনিং-এর কাজ শুরু করে ওই প্রতারক। কানাড়া ব্যাঙ্কের গোলপার্কের এটিএম-এর সিসিটিভি পরীক্ষা করে এমনটাই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। গত চারমাসে অন্তত চারবার ওই এটিএম-এ ঢুকেছে অভিযুক্ত। তবে ছবি থেকে তার মুখ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে না। কেননা সে সবসমই মাথা নিচু করে থাকত এবং মাথায় থাকত টুপি। এর থেকে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি তদন্তকারীরা।
তদন্তকারীদের
দেওয়া
তথ্য
অনুযায়ী,
সাধারণত
দিনে
স্কিমার
লাগিয়ে
রাতে
খুলে
নিয়ে
যেতে
দেখা
গিয়েছে
ওই
সাইবার
প্রতারককে।
এটিএম-এ
কোনও
নিরাপত্তারক্ষী
না
থাকায়
এই
কাজে
সুবিধাও
হয়েছে
ওই
প্রতারকের।
পাশাপাশি
এটিএম-এ
ব্যাঙ্ক
কর্তৃপক্ষের
নজরদারি
নিয়েও
প্রশ্ন
দেখা
দিয়েছে।
কেন
চার
মাসে
একবারও
সিসিটিভি
ফুটেজ
পরীক্ষা
করে
দেখা
হল
না,
সেই
প্রশ্ন
তুলছেন
গ্রাহকরা।
ব্যাঙ্কের
সূত্রের
দাবি,
কোনও
ঘটনা
না
ঘটলে
কোথাও
সেইভাবে
সিসিটিভি
ফুটেজ
পরীক্ষা
করে
দেখা
হয়
না।
স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, কানাড়া ব্যাঙ্কের গোলপার্কের এটিএম-এ আগে নিরাপত্তারক্ষী থাকলেও, সম্প্রতি তা তুলে নেওয়া হয়েছিল।
গোলপার্কের কানাড়া ব্যাঙ্কের এটিএম-এর সঙ্গে মল্লিক বাজারের পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের এটিএম-এও একই কায়দায় স্কিমার লাগিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে। প্রতারিত হয়েছেন গ্রাহকরা। দুই এটিএমই আপাতত বন্ধ। দুটি এটিএম-এ প্রতারণায় একই প্রতারক যুক্ত আছেন কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।