গুরুং যতই হুঁশিয়ারি দিন পাহাড়ের ছন্দ ফেরাতে তৎপর মোর্চা, বনধ উঠছে কবে
নবান্নে সর্বদল বৈঠকের পর পাহাড়ের মানুষ আশাবাদী শীঘ্রই বনধ তুলে পাহাড় স্বাভাবিক ছন্দে ফিরবে, পুজোর মরশুমে পর্যটনমুখী হবে দার্জিলিং
নবান্নে পাহাড় বৈঠক ইতিবাচক নাকি নিস্ফলা- সে বিতর্ক পরে। পাহাড়ে এখন একটাই প্রশ্ন বন্ধ উঠছে কবে? আদৌ কি বনধ উঠবে, নাকি পুজোর মরশুমেও পাহাড় থাকবে পর্যটনবিমুখ? মঙ্গলবার সকাল থেকে নবান্নের দিকে বনধ প্রত্যাহারের প্রত্যাশা নিয়ে চেয়েছিলেন পাহাড়বাসী। সন্ধ্যায় কিন্তু তাঁরা চূড়ান্ত হতাশ।
[আরও পড়ুন:'পাহাড়ে বনধ উঠবে না', গুরুংয়ের বার্তায় বিভাজন স্পষ্ট মোর্চায়]
তাঁরা
ভেবেছিলেন,
৭৮
দিনের
অচলাবস্থা
কেটে
বুধবার
থেকে
নতুন
সূর্য
উঠবে
পাহাড়ে।
কিন্তু
তা
হয়নি।
উল্টে
গুরুংয়ের
হুমকি
ফের
শুনতে
হয়েছে-
'এথনই
পাহাড়
বনধ
উঠবে
না।
নবান্নে
যাই
বলুন
মোর্চা
নেতারা,
শেষ
কথা
বলব
আমিই।'
তবু
গুরুংয়ের
এই
বার্তার
পরও
মোর্চা
নেতৃত্ব
ও
পাহাড়ের
অন্যদলগুলির
কথায়
স্পষ্ট
হচ্ছে,
অচিরেই
উঠে
যেতে
পারে
পাহাড়
বনধ।
পাহাড়ের
দলগুলির
কাছে
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
অনুরোধ
করেছিলেন,
বনধ
তুলে
নিয়ে
পাহাড়ের
স্বাভাবিক
জীবন
ফিরিয়ে
আনতে।
তাতে
পাহাড়ের
দলগুলির
অভিমত
সন্তোষজনকই।
সেই নিরিখেই স্পষ্ট হচ্ছে, উত্তরকন্যায় পরবর্তী বৈঠকের আগেই পাহাড়ে বনধ উঠে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে পুজোর আগেই আবার স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে পারে পাহাড়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার পক্ষ থেকে বিনয় তামাং তেমন ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, পাহাড় বন্ধ তুলে নেওয়ার ব্যাপারে একপ্রকার সহমত পোষণ করেছেন মোর্চা নেতা বিনয় তামং ও তাঁর সহনেতারা। শুধু কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমোদনের জন্যই মোর্চার তরফে তা ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া বনধ তুলতে গোর্খাল্যান্ড মুভমেন্ট কো-অর্ডিনেশন কমিটির অনুমোদন নেওয়াও জরুরি।
বুধবার ৭৯দিন পড়ল পাহাড় বনধ। এই বনধের জেরে দার্জিলিং তথা পাহাড়ের পর্যটন শিল্প ধুঁকছে। সমস্ত ব্যবসা বন্ধ। পাহাড়বাসীর রদস ফুরিয়েছে। পরিবহণ, পঠনপাঠন সমস্ত কিছু বন্ধ হয়ে রয়েছে। পাহাড়ের প্রাণচঞ্চলতা যেন কোথায় হারিয়ে গিয়েছে। একপ্রকার বন্দি জীবন কাটাতে হচ্ছে পাহাড়বাসীদের। এই অবস্থার মুক্তি জরুরি।
তাই বনধ তুলে নিয়ে ফের স্বাভাবিক ছন্দ ফেরানোর বিষয়টি সর্বাগ্রে ভাবা উচিত বলে মনে করছেন খোদ পাহাড়বাসীরাই। সেই ভাবনার বহিঃপ্রকাশও জরুরি ভিত্তিতে করা দরকার। আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটি ও জিএমসিসি-র বৈঠক ডেকে তাই বনধ তোলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারে মোর্চা, তা যতই বিমল গুরুং হুঁশিয়ারি দিন।