ঘূর্ণিঝড় 'ফনি'-র প্রভাব বাংলায়! কবে কোথায়, জেনে নিন আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে ঘূর্ণিঝড় ফনি। এর প্রভাব বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পড়তে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে।
গাঙ্গেয়
পশ্চিমবঙ্গের
খুব
কাছাকাছি
চলে
এসেছে
ঘূর্ণিঝড়
ফনি।
এর
প্রভাব
বুধবার
থেকে
শুক্রবার
পর্যন্ত
পড়তে
পারে
গাঙ্গেয়
পশ্চিমবঙ্গে।
বৃষ্টি
থেকে
বজ্র
বিদ্যুৎ
সব
কিছুরই
পূর্বাভাস
দেওয়া
হয়েছে
আবহাওয়া
দফতরের
তরফে।
মৎস্যজীবীদের
উদ্দেশে
সতর্কতার
পাশাপাশি,
হুগলি
বন্দরে
সিগন্যাল
নম্বর
টু
দেখাতে
বলা
হয়েছে।
সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭. ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন রাজ্যে সব থেকে বেশি গরম ছিল বাঁকুড়া, ৪৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজ্যের প্রতি সতর্কবার্তা
ঘূর্ণিঝড় ফনির প্রভাব রাজ্যে সেরকম ভাবে না পড়লেও, ঝড় বৃষ্টির সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে ১ মে অর্থাৎ বুধবার গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের দু-একটি জায়গায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঘন্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পরের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার একই পরিস্থিতি থাকলেও হাওড়ার বেগ বাড়তে পারে। তা হতে পারে ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে। শুক্রবার বজ্র বিদ্যুতের সঙ্গে গাঙ্গের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কোনও কোনও জায়গায় ভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ১১ সেমি) হতে পারে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের কোনও কোনও জায়গায় ঝড় বৃষ্টি হতে পারে।
উত্তরবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা একনজরে( ডিগ্রি সেলসিয়াস)
দার্জিলিং
১৯.৬
কালিম্পং
২৪
কোচবিহার
২৯
জলপাইগুড়ি
৩০.১
শিলিগুড়ি
৩০.২
মালদা
৩৭.২
পশ্চিমাঞ্চলের আবহাওয়া
এদিন সকাল থেকেই পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা বেশি। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির কোনও কোনও জায়গায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চলের
সর্বোচ্চ
তাপমাত্রা
একনজরে(
ডিগ্রি
সেলসিয়াস)
পুরুলিয়া
৪১.৯
বাঁকুড়া
৪৩.৮
শ্রীনিকেতন
৪০.৭
বর্ধমান
৪১.৫
দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা
দক্ষিণবঙ্গে বিশেষ করে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আগামী তিন দিন ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা একনজরে ( ডিগ্রি সেলসিয়াস)
বহরমপুর
৩৯.৮
ব্যারাকপুর
৩৯
দিঘা
৩৫.৮
কাঁথি
৩৬
দমদম
৩৮.৭
ক্যানিং
৩৭.২
ডায়মন্ডহারবার
৩৫.৩
মৎস্যজীবী ও বন্দরে সতর্কতা
পশ্চিমবঙ্গ
ও
ওড়িশা
উপকূলে
যাঁরা
মাছ
ধরতে
যান,
তাঁদের
উদ্দেশে
সতর্কবার্তায়
বলা
হয়েছে,
গভীর
সমুদ্রে,
বিশেষ
করে
উত্তর
পশ্চিম
দিকে
না
যেতে।
আর
যাঁরা
গিয়েছেন,
তাঁদের
১
মে
বিকেলের
মধ্যে
ফেরত
আসতে
বলা
হয়েছে।
হুগলি
বন্দরে
সিগন্যাল
নম্বর
টু
দেখাতে
বলা
হয়েছে।