বর্ষশেষে কমল রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মৃত্যুর হার, বেড়েছে সুস্থতার হারও
বর্ষশেষে কমল রাজ্যের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মৃত্যুর হার, বেড়েছে সুস্থতার হারও
২০২০-সালের শেষ দিনে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিল দৈনিক করোনা ভাইরাস সংক্রমণের গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কমেছে রাজ্যে। আক্রান্ত হয়েছেন ১১৭০ জন। তবে উদ্বেগ বাড়িয়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা। গতকাল যেখানে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেখানে বৃহস্পতিবার মারা গিয়েছেন ২৯ জন। তবে সুস্থতার হারও বেড়েছে। করোনা কাটিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৫৩৭ জন। রাজ্যে এখন মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৫২,০৬৩ জন।
কমল করোনা সংক্রমণ
রাজ্যে কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। বছর শেেষ নতুন করে আশার আবো দেখাল দৈনিক করোনা গ্রাফ। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৭০ জন। রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫,৫২,০৬৩ জন। করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর হার বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ২৯ জন। বুধবার যেখানে মারা গিয়েছিলেন ২৮ জন। করোনা কাটিয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন ১৫৩৭ জন। রাজ্যে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা এখন ১১,৯৮৫ জন।
বর্ষবরণে কড়াকড়ি
বর্ষবরণের উৎসবে রাশ টানতে আগেই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তার উপরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকেও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মুখ্য সচিবকে চিঠি পাঠানো হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে। তাতে নাইট কার্ফু জারি করার কথাও বলা হয়েছিল। রাজ্যগুলি চাইলে নাইট কার্ফু জারি করতে পারে বলে চিঠিতে লেখা হয়েছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সেপথে হাঁটছে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরিবর্তে মানুষকে সচেতন করতেই বেশি আগ্রহী রাজ্য সরকার বলে জানিয়েছেন তিনি।
নাইট কার্ফু একাধিক রাজ্যে
বর্ষবরণের রাতে ভিড় সামাল দিতে একাধিক রাজ্য নাইট কার্ফুর পথে হাঁটছে। রাজধানী দিল্লি, কর্নাটক, কেরল, মহারাষ্ট্র, তেলঙ্গানা, ওড়িশা নাইট কার্ফুর পথে হাঁটতে শুরু করেছে। রাত ১০টার পর আর কোনও বর্ষবরণের হুল্লোড় করা যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছে কেরল সরকার। একইভাবে নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে রাজধানী দিল্লিও। করোনা সংক্রমণ রুখতেই একাধিক পদক্ষেপ বলে জানানো হয়েছে।
ভ্যাকসিনের ড্রাইরান
২ জানুয়ারি থেকে সব রাজ্যে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাইরান শুরু হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গেও শুরু হবে ভ্যাকসিনের ড্রাইরান। তার প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। ভ্যাকসিন হাতে পেতে আর বেশি দেরি নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনকেই অনুমোদন দেবে মোদী সরকার।