তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা তো বটেই, মমতাও মোদীর পিছনে ঘুরছেন! কীসের ইঙ্গিত দিলীপের
কংগ্রেস-সিপিএমকে সরিয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। এবার লক্ষ্য এক নম্বর হওয়া। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল দেখে তৃণমূলও চমকে গিয়েছে।
কংগ্রেস-সিপিএমকে সরিয়ে রাজ্যে দ্বিতীয় শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে বিজেপি। এবার লক্ষ্য এক নম্বর হওয়া। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল দেখে তৃণমূলও চমকে গিয়েছে। তাই তৃণমূলের অনেক নেতা-মন্ত্রী এখন বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর সেইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করলেন তিনি।
দিলীপ ঘোষ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার জন্য ঘুরঘুর করছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী সময় না দেওয়ায় তিনি দেখা করতে পারছেন না। আর রাগ করে নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে কটূ মন্তব্য করছেন। যে ভাষায় তিনি একজন প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করছেন, তা সঠিক নয় বলেও দিলীপ ঘোষ তোপ দাগেন। তিনি বলেন, ওদের দলের নেত্রীর মুখেও যেমন ভাষা, তেমনই তাঁর দলের নেতা-মন্ত্রীরা।
রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, এবার তৃণমূলী সন্ত্রাস সত্ত্বেও যে ফল করছে বিজেপি, তাতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মনে ভয় ধরে গিয়েছে। এবার লোকসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনে ৫০ শতাংশ আসনে জয়ের লক্ষ্যেই আমরা এগিয়ে চলেছি। আর তার আগে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল দেখেই তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন।
তিনি বলেন জঙ্গলমহলে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ার একটা অংশে দারুণ ফলের পর বিজেপি এখন জঙ্গলমহলকে তৃণমূল মুক্ত করার জন্য যেমন ঘুঁটি সাজাচ্ছে, তেমনই রাজ্যের অন্তত ২০ থেকে ২২ লোকসভা আসনে জয়লাভ করা আমাদের টার্গেট। এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। তাই সাবধান তৃণমূল। রাজ্যে এবার তাঁরাই জিতবেন। যতদিন না তাঁরা জিতছেন, ততদিন পর্যন্ত সন্তুষ্ট হব না আমরা।