মানস ভুঁইয়াকে সরাসরি বহিষ্কারের সুপারিশ কংগ্রেস পরিষদীয় কমিটির
কলকাতা, ২৬ অগাস্ট : জল্পনা চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। তবে কড়া কোনও পদক্ষেপ করেনি কংগ্রেস নেতৃত্ব। তবে এবার বোধহয় মানস ভুঁইয়াকে দল থেকে ছেঁটে ফেলার প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে প্রদেশ কংগ্রেস। [সাসপেন্ড হবেন জেনেই কি মাথা নোয়ালেন না দলে 'কোণঠাসা' মানস ভুঁইয়া?]
জানা গিয়েছে, কংগ্রেস পরিষদীর দলের বেশিরভাগ সদস্যই আর চান না মানস ভুঁইয়া কংগ্রেসে থাকুন। তিনি দলে থেকে দলবিরোধী কাজ করছেন, তৃণমূলের জয়গান করছেন এমনটাই মূলত অভিযোগ। ফলে তাঁকে দল থেকে সাসপেন্ড নয়, একেবারে বহিষ্কারের সুপারিশ জানিয়েই হাইকম্যান্ডের কাছে আর্জি গিয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর। [নাম না করে মান্নান, অধীরের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ মানসের]
জানা গিয়েছে, এদিন কংগ্রেসের পরিষদীর দলের বৈঠকে মানসবাবুকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে। পরিষদীয় দলের এই সিদ্ধান্তের কথা কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের কাছে পাঠানো হবে। এবং এরপরে তাঁরা সম্মতি জানালে সিলমোহর পড়বে এই সিদ্ধান্তে।
এই বিষয়ে প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, মানস ভুঁইয়া কংগ্রেসে থেকে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছিলেন। ক্রমাগত দলবিরোধী কাজের অভিযোগ আসছিল তাদের কাছে। ফলে পরিষদীয় দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাইকম্যান্ডকে বলেছি যত দ্রুত সম্ভব সিদ্ধান্ত নিতে।
অধীরবাবুর আরও বক্তব্য, হাতে কংগ্রেসের পতাকা আর মুখে তৃণমূলের জয়গান করতে হলে দল ছাড়ুন। কংগ্রেসে থেকে তৃণমূলের জয়গান করা চলবে না। প্রয়োজনে শূন্য থেকে কংগ্রেস শুরু করবে বলেও জানিয়েছেন প্রত্যয়ী কংগ্রেস রাজ্য সভাপতি।
প্রসঙ্গত, বিধানসভার পিএসি পদ নিয়ে মূলত মানস ভুঁইয়া ও কংগ্রেসের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। সরকাকে থাকা দল তৃণমূল পিএসি পদের জন্য হঠাৎ করে কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইয়ার নাম ঘোষণা করে দেয়। যদিও কংগ্রেস চেয়েছিল এই পদটি জোটসঙ্গী বামেদের তরফে সুজন চক্রবর্তীকে দেওয়া হোক। কারণ বিরোধী দল হিসাবে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কংগ্রেসের রয়েছে।
যদিও মানস ভুঁইয়া দলের বিরুদ্ধে গিয়ে সেই পদে বসেন। এবং নানা সময়ে দলবিরোধী বক্তব্য ও তৃণমূল সরকারের প্রশংসা শুরু করেন। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে।