ভোট প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা চরমে, বিজেপি-তৃণমূল-বামেদের ছাপিয়ে গেল কংগ্রেস, কী বললেন অধীর
ভোট প্রতিশ্রুতির প্রতিযোগিতা চরমে, বিজেপি-তৃণমূল-বামেদের ছাপিয়ে গেল কংগ্রেস, কী বললেন অধীর
এগিয়ে আসছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। ভোট প্রতিশ্রুতির বন্যা বইছে রাজ্যে। বিজেপি দিচ্ছে বেকারদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। বামেরা সরকারি শূন্য পদে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। সকলকে ছাপিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী আবার গরিব মানুষের পকেটে নগদ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অর্থ সংকটে ভোগা গরিব মানুষকে মুক্তি দিতেই কংগ্রেস সরকার জরুরি বলে দাবি করেছেন তিনি।
কংগ্রেসের ভোট প্রতিশ্রুতি
ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে রাজ্যে। প্রতিদিনই কোনও না কোনও মিটিং-মিছিলে সরগরম থাকছে রাজ্য। সব রাজনৈতিক দলই একে অপরের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে চলেছেন। এরই মাঝে আবার চলছে ভোট প্রতিশ্রুতির বহর। একাধিক রাজনৈতিক দল একের পর এক ভোট প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছে। কংগ্রেস যেমন সরাসরি গরিব মানুষের পকেটে নগদ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেষ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেেছন লকডাউনের কারণে প্রবল অর্থ সংকটে ভুগছেন দেশের গরিব মানুষ। তাঁদের হাতে নগদ অর্থের প্রয়োজন ভীষণভাবে। গরিব মানুষের ভোট পেতে তাই তাঁদের হাতে নগদ অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অধীর চৌধুরী।
ভোট প্রতিশ্রুতির বন্যা বইছে রাজ্যে
একুশের ভোট যত এগিয়ে আসছে তত ভোট প্রতিশ্রুতির বন্যা বইতে শুরু করেছে রাজ্যে। বিজেপি বেকারদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। েই নিয়ে ফর্মও বিলি করতে শুরু করেছিল তারা। পরে বিতর্ক চরমে উঠলে ফর্ম বিলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। যদিও বিভিন্ন রাজনৈতিক সমাবেশে বিজেপি নেতারা কর্মসংস্থান নিয়ে সরব হয়েছেন। রাজ্যকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর হাতে তুলে দেওয়ার কথা বারবার বলে চলেছেন সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারী তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই ভাবে কর্মসংস্থান নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েছে বামেরা। ক্ষমতায় এলে সরকারি শূন্যপদ পূরণের প্রতিশ্রুতি গিয়েছেন সুজন চক্রবর্তীরা।
কর্মসংস্থানই হাতিয়ার
সব রাজনৈতিক দলের ভোট প্রতিশ্রুতিতেই সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে কর্মসংস্থান। বার বার এই একটি ইস্যুতেই সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধীরা। বিজেপি-কংগ্রেস, বাম সকলেই ভোটের নিশানায় কর্মসংস্থানকেই হাতিয়ার করেছেন। ১০ বছরে মমতা সরকারের শাসন কালে একটি কর্মসংস্থানও হয়নি বলে প্রকাশ্যেই আক্রমণ শানিয়েছেন শাসক দলের প্রাক্তন নেতা শুভেন্দু অধিকারী। গোটা বাংলার অর্থনৈতিক অবস্থা থমকে গিয়েছে। দ্রুত এর সংস্কার না হলে ভেঙে পড়বে বাংলার অর্থনীতি এমনই অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। অন্যদিকে বামেরাও এই একই ইস্যুতে সরব হয়েছেন। টেট দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন তাঁরা। এসএসসি দিকে এখনও কেউ কাজ পাননি বলে অভিযোগ করেছেন বামেরা। সেই সুরে সুর মিলিয়েছে কংগ্রেসও।
ভাতা কালচার
গতকাল খড়দহের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারকে কর্মসংস্থান নিয়ে আক্রমণ শানিয়ে বলেছেন, কেউ কোনও কিছু নিয়ে প্রশ্ন তুললেই ভাতা চালু করে দেওয়া হচ্ছে। ১ হাজার, ২ হাজার টাকা দিয়ে ভাতা দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছেন মমতা সরকার। রাজ্যে কোনও শিল্প আসেনি একদিনও। ১০ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের একটি শিল্পেরও উদ্বোধন করেননি। প্রকাশ্যে এমনই অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।