Nepal Plane Crash: কেন বারবার নেপালে ভেঙে পড়ছে বিমান? বিমানেই গলদ না অন্য কিছু?
Nepal Plane Crash: কেন বারবা নেপালে ভেেঙ পড়ছে বিমান? বিমানেই গলদ না অন্য কিছু?
গত ৫ বছরে নেপালে এমন ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা ঘটেনি। পোখরা বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই ভেঙে পড়েছে ইয়েতি বিমান সংস্থার বিমানটি। ভেঙে পড়ার পরেই বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায় বিমানে। কমপক্ষে ৬৮ জন যাত্রী এই বিমান দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন।
তার মধ্যে ৫ জন ভারতীয়ও রয়েছেন। মোট ৭২ জন যাত্রী ছিলেন বিমানে। কাঠমাণ্ডু থেকে ছেড়েছিল বিমানটি যাচ্ছিল পোখরা বিমানবন্দরে। সেতি নদীর পাড়ে ভেঙে পড়ে বিমানটি। যেটি পোখরার পুরনো বিমানবন্দর এবং নতুন বিমানবন্দরের মাঝে রয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে পাইলটের দক্ষতার অভাবেই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিমানে যে বিদেশী যাত্রীদেরর মৃত্যু হয়েছে তাদের মধ্যে ৫ ভারতীয় ছাড়াও রয়েছেন চারজন রুশ যাত্রী। এছাড়াও ২ জন কোরিয়ান এবং একজন অস্ট্রেলিয়ান, একজন আইরিশ, একজন আর্জেন্টাইন এবং ফরাসি যাত্রী ছিলেন। পোখরার নতুন বিমানবন্দরে অবতরণের ১০ থেকে ২০ সেকেন্ড আগে বিমানটি ভেঙে পড়ে। পোখরা বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে কোনও রকম যান্ত্রিক ত্রুটির কথা জানানো হয়নি বিমানের পক্ষ থেকে। আবহাওয়াতেও কোনও সমস্যা ছিল না। দৃশ্য মানতা পর্যাপ্ত ছিল বলে জানিয়েছেন পোখরার অ্যাভিয়েশন দফতরের আধিকারীকরা।
বিমানটি ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। যার জেরে অধিকাংশ যাত্রীকেই বাঁচানো যায়নি। উদ্ধার প্রক্রিয়াও সঙ্গে সঙ্গে শুরু করা যায়নি। প্রথমে স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করেছিল। ১০ সেকেন্ড বাকি ছিল অবতরণের তার মধ্যেই রানওয়ের মাটি ছোঁয়ার আগেই সেটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। এই দুর্ঘটনার জন্য অভিযোগ উঠছে বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে। ইয়েতি বিমান সংস্থার এই বিমানটি ১৫ বছরের পুরনো ছিল। তাতে ২টি ইঞ্জিন ছিল। অধিকাংশ যন্ত্রাংশই ছিল পুরনো। এয়ারবাস এবং ইতালির বিমানসংস্থা লিওনার্দোর এই বিমানটি তৈরি করেছিল। এই ধরনের ৬টি বিমান রয়েছে ইয়েতি বিমানসংস্থার।
সকাল সাড়ে ১০টায় বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে উড়েছিল পোখরা বিমানবন্দরে সকাল ১১টার সময় অবতরণ করার কথাছিল। সেখানে অবতরণের ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই সেতি নদীর তিরে সেটি ভেঙে পড়ে। তারপরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় পোখরা বিমানবন্দরের বিমান ওঠানামা। ঘটনার তদন্তে ইতিমধ্যেই ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড এবং উচ্চ পদস্থ আদিকারীকরা এই দুর্ঘটনা নিয়ে কথা বলেছেন।
অনেকেই আবার অভিযোগ করেছেন পোখরার নতুন বিমানবন্দরেই গলদ রয়েছে। নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই বিমানবন্দরটি খুলে দেওয়া হয়েছিল। গত ১ জানুয়ারি বিমানবন্দরটি খুলে দেওয়া হয়। একটি চিনা সংস্থা বিমানবন্দরটি নির্মাণ করছে। প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড বিমানবন্দরটি উদ্বোধন করেছিলেন ১ জানুয়ারি। তার কয়েকদিনের মধ্যেই এই বিপত্তি।