যুদ্ধই আমাদের উত্তর, হামাসের উদ্দেশে হুমকি ইজরায়েলের
যখন যুদ্ধবিরতি হচ্ছে না, তখন যুদ্ধই আমাদের উত্তর। এমনই হুমকি দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। জাতির উদ্দেশে একটি ভাষণে এ কথা বলেছেন তিনি। এর ফলে গত কয়েকদিন ধরে চলতে থাকা ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন সংঘর্ষের আশু অবসান হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
কিছুদিন আগে প্যালেস্তাইন ভূখণ্ড থেকে হামাস জঙ্গিরা রকেট হামলা শুরু করায় জবাব দিতে শুরু করে ইজরায়েল। ইজরায়েলের বিমান ও ট্যাঙ্ক দফায় দফায় হামলা শানিয়েছে। মিশর শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতা করতে চাইলেও তা ভেস্তে যায়। বুধবার সকালেও আকাশ কাঁপিয়ে উড়ে যায় ইজরায়েলের বোমারু বিমান। যথেচ্ছ হামলায় তিনজন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একজন মহিলা ও একজন শিশু। এর ফলে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ২০৩ জনের মৃত্যু ঘটল।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানাচ্ছে, এদিন সকাল আটটা নাগাদ গাজাতে জঙ্গি সংগঠন হামাসের চাঁই মেহমুদ আল জহরের বাড়িতে বোমা ফেলে ইজরায়েলের বোমারু বিমান। তার আগে ওই ব্যক্তি চম্পট দেওয়ায় অবশ্য প্রাণে মরেনি। এই ঘটনার পর হামাস চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেছে, ইজরায়েলকে তারা নাস্তানাবুদ করে ছাড়বে। ইজরায়েলের পাল্টা হুমকি, অবিলম্বে গাজা থেকে অন্যত্র সরে যাক সাধারণ মানুষ। এক লক্ষ লোককে সরে যেতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ খুব তাড়াতাড়ি পূর্ণ শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে তাদের বোমারু বিমান। এর পর প্রাণহানি হলে তার দায় ইজরায়েলের থাকবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, প্যালেস্তাইনের বিরুদ্ধে 'আগ্রাসী' ইজরায়েলের ভূমিকায় বিভিন্ন দেশ সরব হলেও সে দেশের সরকারের একাংশ মনে করছে, প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু 'নরম' ভূমিকা নিয়েছেন। ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী আভিডগোর লিবারমান বলেন, "আমরা মার খেয়েও কেন সংযত রয়েছি? এক্ষুণি সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দিন প্রধানমন্ত্রী, যাতে তারা সব কিছু গুঁড়িয়ে দিয়ে গাজায় ঢুকে পড়ে। হামাসকে নিশ্চিহ্ন না করলে কখনও শান্তি ফিরবে না।" জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "সরকার যা করছে, ঠিকই করছে। সব সময় বুঝে-শুনে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। পাগলের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক নয়।"