দক্ষিণ চিন সাগরে বেজিংয়ের গতিবিধির উপর নজর রাখা হচ্ছে! ভারতে পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা আমেরিকার
ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে চিনকে ফের একবার সতর্কবার্তা দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই বিষয়ে মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব মার্ক এসপার বলেন ভারত চিন সীমান্তে চলা প্রতিটি ঘটনায় কড়া নজর রেখেছে আমেরিকা। এসপার জানান ভারত ও চিনের মধ্যে যে ঘটনাপ্রবাহ চলছে, তাতে নজর রাখা হয়েছে। পর্যবেক্ষণ করছে আমেরিকা।
চিনকে তোপ আমেরিকার
এদিন চিনকে তোপ দেগে মার্ক এসপার বলেন, চিনা সেনার গতিবিধি ও কার্যকলাপ ভারত সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি করছে। ইচ্ছাকৃত ভাবে সীমান্তে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। তবে দুদেশের মধ্যে আলোচনার বাতাবরণ এখনও রয়েছে দেখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট বলে জানান প্রতিরক্ষা সচিব।
লাদাখ সীমান্তে ক্রমেই উত্তেজনা চড়তে শুরু করেছে
এদিকে লাদাখ সীমান্তে ক্রমেই উত্তেজনা চড়তে শুরু করেছে। চিনের সাম্রাজ্য বিস্তারের লালসার জেরে গোটা দক্ষিণ এশিয়া সন্ত্রস্ত। ক্রমেই আগ্রাসী মনোভাবে একাধিক দেশের সীমানা দখলে আস্ফালন দেখাচ্ছে চিনের ড্রাগন বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে দক্ষিণ চিন সাগর ঘিরে কূটনীতি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। এমনকি করোনার সঙ্গে দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের আস্ফালনেরও যোগ পাওয়া যাচ্ছে।
চিনের সঙ্গে মার্কিন সংঘাতের মূল কারণ
চিনের সঙ্গে মার্কিন সংঘাতের মূল জায়গাই ছিল বাণিজ্য। এই আবহে চলতি সপ্তাহে আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে ভারতীয় যুদ্ধজাহাজগুলির সঙ্গে যৌথ নৌ-মহড়া দিতে চলেছে আমেরিকার নেভি ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ, যার নেতৃত্বে রয়েছে মার্কিন রণতরী ইউএসএস নিমিট্জ।
ভারত-মার্কিন যৌথ মহড়া
জানা গিয়েছে, ভারতীয় নৌবাহিনীর ইস্টার্ন ফ্লিট আপাতত আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে মহড়ায় ব্যস্ত রয়েছে। অন্য দিকে মালাক্কা প্রণালীর মধ্যে দিয়ে যাত্রা করে বর্তমানে পারস্য উপসাগরের দিকে রওনা দিয়েছে মার্কিন রণপোত বাহিনী। চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে দুই দেশের নৌবাহিনী আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে যৌথ মহড়া শুরু করবে।
দক্ষিণ চিন সাগরে উত্তেজনা
এর আগেই দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা যুদ্ধজাহাজ বাহিনীর টহলদারিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে একাধিক প্রতিবেশী দেশ এবং আমেরিকা। বেজিংয়ের দখলদারি থেকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে মুক্ত রাখতেই দক্ষিণ চিন সাগরে অভিযান চালানো হয়েচে বলে দাবি করেছে মার্কিন নৌসেনা।