চিনের কাছে হার মানল আমেরিকা, হংকং-এর সঙ্গ ত্যাগ ট্রাম্পের! মাইক পম্পেওর বক্তব্যে চাঞ্চল্য
হংকং চিনের 'বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল', যেখানে 'এক দেশ, দুই ব্যবস্থা' নীতি চালু রয়েছে। গত বছরের জুন মাসে চিন প্রস্তাবিত একটি অপরাধী প্রত্যর্পণ বিল বাতিলের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় অঞ্চলটিতে। পরে চীন এ বিল প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। তারপরও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আগ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক হংকংয়ের দাবিতে বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। সেই বিক্ষোভকে পরোক্ষ ভাবে সমর্থনও জানিয়েছিল আমেরিকা ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হংকংয়ের গণতন্ত্রে 'ইতি টানবে' চিন
তবে কয়েকদিন আগেই চিনের কংগ্রেসে বিতর্কিত হংকং নিরাপত্তা আইন উপস্থাপন করা হয়। সেটিও পাশও হয়ে যায়। গণতন্ত্রপন্থিদের দাবি, চিনের নতুন আইন হংকংয়ের 'ইতি টানবে' অর্থাৎ অঞ্চলটির স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধীনতার অবসান ঘটাবে। ১৯৯৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর এটি এখন পর্যন্ত হংকংয়ের সবচেয়ে বিতর্কিত ঘটনা।
সারা বিশ্ব তাকিয়ে ছিল আমেরিকার দিকে
এই ঘটনার পরই সারা বিশ্ব তাকিয়ে ছিল আমেরিকার দিকে। হংকং নিয়ে তাদের স্ট্যান্ড জানতে মুখিয়ে ছিল রাজনৈতিক মহল। সেই বিষয়েই এবার মুখ খুললেন আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও।
হংকং নিয়ে মাইক পম্পেওর বক্তব্য
এদিন মাইক পম্পেও বলেন, 'চিনের কাছ থেকে এখন আর স্বায়ত্তশাসনে নেই হংকং। এতে শত শত কোটি ডলারের বাণিজ্য বিপন্ন হতে চলেছে। তিনি বুধবার কংগ্রেসকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন। হংকং তার স্বায়ত্তশাসন হারানোর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তার যে বিশেষ বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল তা নষ্ট হবে। এতে হংকং যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল তা হুমকিতে পড়বে।'
পিছু হটল মার্কিন প্রশাসন
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে পম্পেওর এই বক্তব্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বকলমে এই উক্তির অর্থ, আমেরিকা হাল ছেড়ে দিয়েছে। হংকংকে নিজেদের মতো ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে আমেরিকা। এখন চিন নিজেদের ইচ্ছা মতো করতে পার। ১৯৯৭ সালের আগের রাজনৈতিক পরিস্থিতি হংকংয়ে ফিরিয়ে আনা আমেরিকার পক্ষে সম্ভব নয়।
ট্রাম্পের মুখ লুকোনোর পন্থা
বর্তমানে চিনের মূল ভূখণ্ডের চেয়ে আরও উচ্চতর গণতন্ত্র ও বাক প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে হংকংয়ে। তবে হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থিদের আশঙ্কা, চিন যেভাবে কমিউনিস্ট পার্টির বিরোধীদের দমন করে, সেভাবেই বিক্ষোভ দমন করতে এ আইন ব্যবহার করা হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, হংকংয়ের ওপর নিরাপত্তা আইন চাপিয়ে দেয়া হলে তিনি কঠোর সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে পম্পেওর এই বক্তব্য কী তবে ট্রাম্পের মুখ লুকোনোর পন্থা!
করোনার জেরে স্বপ্ননগরী থেকে মৃত্যুনগরীতে পরিণত মুম্বই, হাসপাতালের বারান্দায় লাইন দিয়ে রাখা দেহ!