লাদাখ সীমান্তে শান্তি চায় না চিন, ভারতকে আলোচনার পথে না হাঁটার পরামর্শ আমেরিকার
আর দুই দিন পরই ফের আলোচনায় বসতে চলেছে ভারত-চিন সেনা। লাদাখ সীমান্তে চুশুলে সেই বৈঠক হওয়ার কথা। তবে সেই বৈঠকের আগে ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট এদিন জানিয়ে দেন যে, ভারতের উত্তর সীমান্ত লাগোয়া এলাকাগুলিতে চিন অন্তত পক্ষে ৬০ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে। এবং এর অর্থ পিএলএ যুদ্ধেপ চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে বর্তমানে।
১২ অক্টোবর ভারত-চিন সেনা কমান্ডর স্তরের বৈঠক
এদিকে এই আবহেই ১২ অক্টোবর ভারত-চিন সেনা কমান্ডর স্তরের আলোচনা হওয়ার কথা। সেই বৈঠকে ভারতের পক্ষ থেকে লাদাখ সীমান্ত থেকে চিনের সমস্ত সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে চিন যে সেই দাবি খারিজ করে দেবে তা আগেভাগেই ভআরতকে জানিয়ে রাখল আমেরিকার লাদাখ বিষয়ক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়েন।
বল প্রয়োগের মাধ্যমেই চিন নিজেদের দাবিতে অনড় থাকবে
ভারত-চিন সীমান্তে চলমান উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে দুই দেশের তরফে বিভিন্ন স্তরে আলোচনা হলেও তা ফলপ্রসু হচ্ছে না। এরই মাঝে আমেরিকার লাদাখ বিষয়ক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও ব্রায়েন জানি দেন যে সময় এসেছে যখন ভারতকে মেনে নিতে হবে যে আলোচনার মাধ্য চিন এই লাদাখ সীমান্ত বিবাদ মেটাতে চাইছে না। বল প্রয়োগের মাধ্যমেই চিন এই ইস্যুতে নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখাতে ইচ্ছুক। বকলমে যার অর্থ, যুদ্ধ।
কমিউনিস্ট পার্টির আগ্রাসী মনোভাব
এবিষয়ে রবার্ট ও ব্রায়েন বলেন, 'চিনা কমিউনিস্ট পার্টি এলাকা দখলের ক্ষেত্রে তাদের আগ্রাসী মনোভাব থেকে স্পষ্ট যে ভারতের ক্ষেত্রে তারা কোনওভাবেই আলোচনার পথে হেঁটে এই বিবাদ মেটাতে চাইছে না। তারা বল প্রয়োগ করেই ভারতের বিরুদ্ধে এলএসি বরাবর নিজেদের প্রসার ঘটাতে চাইছে। তাইওয়ানেও তারা একই প্রয়াস চালাচ্ছে।'
বেজিংয়ের বেল্ট রোড প্রকল্পের সমালোচনা
এরপর বেজিংয়ের ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড প্রোগ্রামকে তোপ দেগে রবার্ট বলেন, 'এই প্রকল্পগুলি ভিত্তিহীন। এর কোনও প্রয়োজন নেই। চিন এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে অন্য দেশগুলিকে নিজেদের ঋণের ভারে নতিস্বীকার করতে বাধ্য় করে। সেভাবে রাষ্ট্রসংঘেও চিনের লাইনে হাঁটতে বাধ্য হয় দেশগুলি। চিনের এই প্রকল্পগুলির মূল লক্ষ্য হল এভাবে দেশগুলিকে বেজিংয়ের কথা মতো নাচানো।'
ভারতের উদ্দেশে মার্কিন বার্তা
এরপর ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'সময় এসেছে যখন এচা আমাদের মেনে নিতেই হবে যে লাদাখ ইস্যুতে কোনও ভাবেই আলোচনার মাধ্যমে শান্তি ফিরবে না। চিনের মনোভাবকে বদলানো যাবে না আলোচনার মাধ্যমে।' এসব বিষয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও অগ্রণী ভূমিকা রাখতে চাইছেন বলে উল্লেখ করে ব্রায়েন বলেন, 'কমিউনিস্ট পার্টির কর্মকাণ্ডের উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে।'
শীত এগিয়ে এলেও সমাধান নেই
এদিকে শীত এগিয়ে আসতে চলেছে কিন্তু এখনও সমস্যার সমাধান হয়নি। চিন কিছুতেই এলএসি মানতে চাইছে না বলে দাবি করেছেন ভারতের। এর জেরে লাদাখ নিযে চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের আরও অবনতি হচ্ছে। লাদাখ সমস্যা সমাধানে দুই দেশের কমান্ডার পর্যায়ের প্রতিনিধি বৈঠক হয়েছে একাধিকবার। এমনকী বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধিও সামিল হয়েছেন সেই বৈঠকে। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র বেরিয়ে আসেনি।
এবার পাকিস্তানেও নিষিদ্ধ চিনা অ্যাপ টিকটক, বেজিংকে রাগিয়ে কেন এমন সিদ্ধান্ত ইমরানের?